যশোরের সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ‘পুনশ্চ’ পৌষের শেষ দিনে পিঠা উৎসবে মেতেছিলেন বৃদ্ধ থেকে শুরু করে শিশু, কিশোর, তরুণ-তরুণীরা। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি ছিল প্রাণবন্ত। শীত ও বাংলার প্রকৃতিকে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় গানে আর সুরের মূর্চ্ছনায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের ভোলা ট্যাংক রোডের পুনশ্চ প্রাঙ্গণে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে যশোর জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর পরিবারসহ পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান পুনশ্চ’র সভাপতি পিংকু রীতা বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক পান্না লাল দে, সংগঠক সুকুমার দাস উপস্থিত অতিথিদের পিঠার আয়োজন ঘুরে দেখান।
কুলি, পাকান, ধুপি, নকশি, ভাপা, পাটি সাপটাসহ যশোর ঐতিহ্যের খেজুর রসে ভেজা পিঠা ছিল এ আয়োজনে। নকশি পিঠার মনকাড়া ডিজাইন চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মত। শামুক আকৃতির পিঠার স্বাদ আর গোলাপ-জিলেপি পিঠার চমৎকার অবয়ব পিঠা উৎসবে নান্দনিকতা এনে দেয়। যদিও কোনো পিঠাই নতুন না, তারপরেও পৌষের শেষ দিনে যশোরের পুনশ্চ’র এই আয়োজন খুবই চমৎকার বলে মন্তব্য করেছেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
পুনশ্চ’র একগুচ্ছ শিক্ষার্থীর গানে গানে মুখরিত ছিল সাংস্কৃতিক পর্বটি। এতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পারভেজ হাসান, যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার অধিকারী, মুক্তিযোদ্ধা অশোক কুমার, প্রবীণ শিক্ষক তারাপদ দাস, বিএফইউজে সদস্য প্রণব দাস, জেইউজে সাধারণ সম্পাদক মিলন রহমান, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন টুলু, মাইকেল সংগীত একাডেমির অধ্যক্ষ অখিল বিশ্বাস, পুনশ্চ’র সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম বাদল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হারুন-অর-রশীদ প্রমুখ।
বিবার্তা/তুহিন/প্লাবন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]