শিরোনাম
সরকারি হাসপাতালে আবর্জনার ভাগাড়, দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্বাস্থ্যকর্মী-রোগী
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২১, ১৭:০৩
সরকারি হাসপাতালে আবর্জনার ভাগাড়, দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্বাস্থ্যকর্মী-রোগী
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৫০ শয্যা সরকারি হাসপাতালের বিভিন্ন আবর্জনার স্তূপ করছে হাসপাতালেরই এক কোণে। সেই স্তূপ করা আবর্জনার দুর্গন্ধে জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে রোগী-স্বজন এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের। এ আবর্জনা হাসপাতালের সামনের রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশেও ফেলা হচ্ছে।


কোথায় ফেলা হবে বর্জ্য ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বছর শেষ। না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, না পৌরসভা কর্তৃপক্ষ-কেউই জায়গা চিহ্নিত করতে পারেননি।


পৌরসভা এই আবর্জনা পরিষ্কার না করে দোষারোপ করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগের তীর ছুঁড়ছেন পৌরসভার দিকে। ফলে এমন মনোভাবের কারণে আবর্জনার স্তূপ ক্রমেই বেড়ে চলেছে হাসপাতালের ভিতরে ও বাহিরে। কিন্তু উভয় পক্ষই কবে সেই কাজ শুরু করবেন, তার সুনির্দিষ্ট জবাব মেলেনি।


হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ঠিক পিছনেই দীর্ঘদিন ধরে স্তুপ করা এই আবর্জনার পাহাড়। এর কাছাকাছি ডাক্তারের কক্ষ, শিশু প্রকল্পে শিশুদের রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, যক্ষা বিভাগ ও অফিস রয়েছে। এই বিভাগগুলির কর্মীদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে এখানে আবর্জনা জমতে জমতে অবস্থা এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে দুর্গন্ধে থাকা যায় না। গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। তাতে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে । অফিসের ভিতরেও দরজা-জানালাও খুলে বসে থাকা যায় না।


সমস্যায় রয়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরাও। ওই স্তূপের পাশ দিয়েই তাদের অনেককে নাকে-মুখে রুমাল দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। যেখানে আবর্জনা জমছে, সেই দেয়ালের পাশেই প্রাচীর ঘেষে ওষুধের ও খাবারের দোকান।


হাসপাতাল পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা মঞ্জু রানী দাস বলেন, ঐ আবর্জনার কারণে জানালা খুলে বসাও যায়না। দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষণ হয়ে উঠেছে। নাকে রুমাল দিয়ে নারী ও শিশুদের সেবা দিতে হচ্ছে গত এক বছর ধরে। কোথায় ফেলা হবে তা এখনও চিহ্নিত হয়নি।


তিনি আরো বলেন, পৌরসভা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সমস্যার কথা জানিয়েছি। কিন্তু পৌরসভাও আমাদের কোনও জায়গা দেখাতে পারেনি। আমরাও ”বিকল্প জায়গা খুজে পায়নি।


বরিবার (১জুলাই) রায়পুর সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার বাহারুল আলম বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে সাধারণ বর্জ্য কোথাও ফেলার জায়গা না থাকায় একপাশে ফেলা হচ্ছে। আবর্জনাগুলো-পরিষ্কারের জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে বললেও তারা শুনছে না।


রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, আমরা জায়গার সন্ধান করেছি। হাসপাতালের আবর্জনা তার ভেতরেই ফেলা হচ্ছে তা জানা নেই । মাটি খুঁড়ে গর্তে আবর্জনা ফেলার কথাও ভাবছি । তা নাহলে যত দ্রুত সরিয়ে নিয় যাওয়া হবে।


বিবার্তা/সোহেল/ইমরান

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com