যশোরস্থ ঢাকা আহছানিয়া মিশনের শেল্টার হোমে ভাংচুর করা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ জুলাই) দুপুরে সেখানে থাকা মেয়েরা ভাংচুর চালায়। বৃহস্পতিবার রাতে শেল্টারেহোমে ভারত ফেরত আরো চার মেয়ে রাখায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ভাংচুর করেছে। বিক্ষুব্ধ মেয়েরা হোমের জানালা, খাট, আলনাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
তাদের দাবি- কোয়ারেন্টিন ছাড়া ভারতফেরতদের সরাসরি শেল্টার হোমে নিয়ে আসায় তারা করোনা ঝুঁকিতে পড়বে। তারা আরো জানান, এখানে যারা থাকে দরিদ্র পরিবারের সন্তান, দেখার কেউই নেই। যদি হোমে করোনা ছড়িয়ে যায়, তবে মেয়েদের কী হবে। তারা চিকিৎসা পাবে না। সে কারণে বলা হয়েছে, হয় নতুনদের সরিয়ে অন্য স্থানে নিয়ে যাক, অথবা পুরনোদের সরিয়ে নেওয়া হোক।
শেল্টার হোমের ব্যবস্থাপক শাহনাজ পারভীন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পরে চার মেয়েকে শেল্টার হোমে দিয়ে যায় রাইটস যশোর। মেয়েদের ভারত থেকে রিপ্যাট্রিয়েশন করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন কোয়ারেন্টিন শেষ করা এবং অপর তিনজন এদিন দেশে ফিরেছেন। বিষয়টি হোমে থাকা অন্য মেয়েদের ভীত সন্ত্রস্ত করে তোলে। এরপর তারা ওই তিনজনকে অন্যত্রে পাঠাতে কিংবা তাদের অন্য স্থানে রাখার দাবি জানায় এবং একপর্যায়ে শুক্রবার দুপুরে হোমে ভাংচুর চালায় মেয়েরা।
শাহনাজ পারভীন আরো বলেন, রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক বলেছেন তাদের নেগেটিভ রিপোর্ট আছে। তাছাড়া জেলা প্রশাসনের অনুমতিও রয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক বলেন, চার মেয়ের মধ্যে একজন ইতোমধ্যে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন সম্পন্ন করেছে। অন্যদের রিপোর্ট নেগেটিভ।
কোয়ারেন্টিন ছাড়া তাদের শেল্টার হোমে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ভারত থেকে রিপ্যাট্রিয়েশনের পর ১৪দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যয় সাপেক্ষ। তাছাড়া লকডাউন উঠে গেলে তাদের কী হবে-সেই চিন্তা থেকে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে তাদের সেখানে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান বলেন, সেন্টারে যারা রয়েছেন তারা সকলেই তো ভিকটিম। যারা গতরাতে এসেছেন তারাও ভিকটিম। রাইটস যশোরের আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা সেখানে নতুন তিনজনকে আলাদা থাকার ব্যবস্থা সাপেক্ষে রাখতে বলি।
বিবার্তা/তুহিন/ইমরান
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]