শিরোনাম
হাতীবান্ধায় মাদকাসক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগ
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২১, ১৬:১৬
হাতীবান্ধায় মাদকাসক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগ
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় সহকারি শিক্ষক শাহিন, তার ভাই সজিব ও জুয়েলের বিরুদ্ধে গণ পিটিশন দিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী, তাদের বিরুদ্ধে মাদক কারবারি ও সেবনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।


এ ঘটনায় গত বুধবার (২৮ জুলাই) উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের স্থানীয়রা ডাকযোগে ওই তিনজনের নাম উল্লেখ করে বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ ও গণ পিটিশন দিয়েছে স্থানীয়রা।


দফতর গুলো হলো- লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, হাতীবান্ধা থানার ওসি, ভেলাগুড়ি ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন।


আব্দুস সাত্তার শাহিন উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের মধ্যম কাদমা এলাকার মৃত শাহাজান চাকলাদারের ছেলে ও মাস্টার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। শাহিনের ভাই সজিব এবং মৃত আঃ রহিমের ছেলে জুয়েল।


স্থানীয়দের স্বাক্ষর করা গণ পিটিশনে উল্লেখ রয়েছে, সহকারি শিক্ষক শাহিন, তার ভাই সজিব ও জুয়েল এলাকায় সকল ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত। এছাড়া তারা ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন নেশার সাথে জড়িত। ওই তিনজনের কারণে এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেরা নষ্ট হওয়ার পথে। এমনকি নিজেরদের পরিবারের লোকজনদেরও জমি দখল করে। তাদের কারণে এলাকার সকল বয়সের মানুষ ভয়ে থাকেন।


এ বিষয়ে গণ পিটিশনে স্বাক্ষরকারি স্থানীয় হাফিজুর রহমান বলেন, শিক্ষক হয়ে সব সময় নেশা ডুবে থাকে। এমনকি তরুন যুবকদের নেশায় আসক্ত করে জীবন নষ্ট করে দিচ্ছে। আমরা এর বিচারের দাবিতে বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।


এ বিষয়ে গণ পিটিশনে স্বাক্ষরকারি অপর একজন স্থানীয় মনোয়ারা খাতুন বলেন, একজন শিক্ষকের কাছে আমাদের সন্তানরা শিক্ষা পাবে সু-পথে চলবে৷ কিন্ত এই শিক্ষক তো তরুনদের জীবন নষ্ট করে দিচ্ছে।


এ বিষয়ে মাস্টার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুস সাত্তার শাহিন বলেন, আমি নেশা করি না। ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলবো।


এ বিষয়ে মাস্টার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খগেশ্বর বলেন, লোক মুখে শুনেছি। তবে নিজের চোখে দেখি নাই।


এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসাইন সরকার বলেন, অভিযোগ এখনো পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন বলেন, এরকম কোন অভিযোগ এখনো পাইনি, অভিযোগটি পেলে তদন্ত করে আমাদের যেটা করনীয় সেটাই করবো।


বিবার্তা/তমাল/ইমরান

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com