বগুড়ায় করোনা বিশেষায়িত মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ‘হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার অভাবে’ শ্বাসকষ্টে ৭ রোগী মারা গেছেন। অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া আরো ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। শুক্রবার (২ জুলাই) এ ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জপাড়ার আলী জাহিদ (৬৫), শিবগঞ্জ উপজেলার মীরা বেগম (৩৫) ও আবদুল হান্নান (৬৫), সারিয়াকান্দির টুকু মন্ডল (৬৫), জয়পুরহাটের পাঁচবিবির রাবেয়া বেগম (৬০), নওগাঁর বদলগাছির আবদুল মতিন চৌধুরী (৮২) ও সিরাজগঞ্জ সদরের লিলি চৌধুরী (৫৫)।
২৫০ শয্যার বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের সূত্রে জানা গেছে, করোনা বিশেষায়িত এ হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতা ২০০ রোগী। শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২২৩ জন চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত মার্চে এখানে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ইউনিটের কার্যক্রম শুরু হয়। মুমূর্ষু রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহে অন্তত ২০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার প্রয়োজন থাকলেও আছে মাত্র দুটি। তার মধ্যে একটি অকেজো। তবে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ১০টি এবং বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে আছে ১০টি।
এদিকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের চিকিৎসা দিতে কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছেন। ক্যানুলার সঙ্কট থাকায় মুমূর্ষু রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। অক্সিজেনের অভাবে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত শ্বাসকষ্টে সাতজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগি মারা গেছেন। অক্সিজেন স্যাচুরেশন (রক্তে ঘনীভূত অক্সিজেনের মাত্রা) ৮৭-এর নিচে থাকা ১০ রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বরাদ্দ না পাওয়ায় ‘হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার’ সঙ্কটের কথা উল্লেখ করে বগুড়া হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নুরুজ্জামান সঞ্চয় জানান, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা বরাদ্দ চেয়ে দফায় দফায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো বরাদ্দ মেলেনি।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]