শিরোনাম
দামুড়হুদায় বোরো ধানক্ষেতে নেকব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২১, ১৯:৩২
দামুড়হুদায় বোরো ধানক্ষেতে নেকব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় বোরো ধানক্ষেতে নেকব্লাস্ট (শিষ মরা) রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। বোরো আবাদের প্রায় শেষ মুহূর্তে এসে ধানক্ষেতগুলো এ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।


কৃষি বিভাগ রোগ প্রতিরোধে এলাকায় কৃষকদের ক্ষেত পরিদর্শন করে এর প্রতিরোধে করনীয় বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।


দামুড়হুদা উপজেলায় এবার বোরো ধান চাষের লক্ষমাত্রা ছিলো ৮ হাজার ৯৪০হেক্টর জমিতে। কিন্তু চাষ হয়েছে ১০ হাজার ১৬৯ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষমাত্রার চেয়ে ১২২৯ হেক্টর জমিতে বেশী। তবে ফলন কিছুটা কম হতে পারে।


উপজেলার পুড়াপাড়া, উজিরপুর, কার্পাসডাঙ্গা, কুড়ুলগাছি, চন্ডিপুর, সাড়াবাড়ীয়া, বলদিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠের ধানক্ষেতে এই নেকব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। এই রোগে ধানের পাতা সবুজ দেখা গেলেও শিষ শুকিয়ে মারা যাওয়ার কারণে চিটা হয়ে যাচ্ছে।


উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের কৃষক সুকুমার কর্মকার বলেন, এবার একবিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে ধান প্রায় শিষ বেরিয়ে শেষ হয়েছে ২০/২৫ দিনের মধ্যে ধান পেকে যাবে। এমন সময় তার জমির ধানক্ষেতে নেকব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। কোনো বালাই নাশক দিয়ে ঠিকমত কাজ হচ্ছে না। এই রোগ সারা ক্ষেতে ছড়িয়ে পড়লে ধানের বেশির ভাগ চিটা হয়ে যাবে এতে সে অপূরণীয় ক্ষতির আশংখা করছেন।


উপজেলার সীমান্তবর্তী কুড়–লগাছি গ্রামের কৃষক হোসেন আলি, মনিরুজ্জামান ও পীরপুর কুল্লা গ্রামের মুনছুর আলি ও শওকত আলি বলেন, আর মাত্র ২০/২৫ দিনের মধ্যে তাদের মাঠে ধান কাটার কাজ শুরু হবে। এমন সময়ে ক্ষেতে শিষ মরা রোগ দেখা দিয়েছে। দূর থেকে দেখলে মনে হচ্ছে ধান পেকে গেছে। কিন্তু কাছে গেলে বোঝা যাচ্ছে ধানের শিষগুলো মরে শুকিয়ে চিটা হয়ে গেছে। এই রোগ প্রতিরোধ করা না গেলে ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছেন তারা।


দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান জানান, উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় এই রোগ দেখা দিয়েছে। তবে তা ব্যাপক আকার ধারন করেনি। এই বোরো ধানে তাপমাত্রা ২৭/২৮ ডিগ্রি সহনশীল কিন্তু জেলায় ৩৮ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় প্রচন্ড খরা ও ভ্যাপসা গরম,রাতে ঠান্ডা পড়ার কারণে ধানক্ষেত নেকব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা নিয়মিত পরিদর্শন করছি ও এর প্রতিরোধে কৃষকদের কে করনিয় বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছি। পরামর্শ মত কৃষকরা ব্যবস্থা নিলে এই রোগ আর বাড়বেনা বলে ও তিনি আশা করছেন। তবে লক্ষমাত্রার চেয়ে চাষ বেশি হলেও এই ভাইরাস জনিত রোগের কারনে ফলন কিছুটা কম হতে পারে।


বিবার্তা/সাগর/জাই


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com