শিরোনাম
শিশু দিপুনের কাঁদে সংসারের ভার!
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২১, ১৭:১২
শিশু দিপুনের কাঁদে সংসারের ভার!
হিলি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বয়স মাত্র ১১ বছর। এই বয়সে সমাজের আর দশজনের মতো তারও কিন্তু হেঁসে খেলে ও আনন্দ-উল্লাসে কাটানোর কথা। পরিবারের একমাত্র উপার্জন ব্যক্তি বাবা অসুস্থ থাকায় অভাবের কাছে হার না মেনে চার্জার রিক্সা চালিয়ে ১১ বছরের দিপুনকে সংসারের ব্যয় ভার বহন করতে হচ্ছে।


দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের মধ্যবাসুদেবপুর (মাঠপাড়া) গ্রামের সুভেনের ছেলে দিপুন।


হঠাৎ চলার পথে দেখা হলো পৌরসভার চুড়িপট্টি মোড়ে চার্জার রিক্সা নিয়ে, অপেক্ষা করছে যাত্রীর জন্য। দিপুনের সাথে কথা বলে জানা যায়, সে বাংলাহিলি দক্ষিন বাসুদেবপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। বেশ কিছু দিন ধরে তার বাবার শরীরের অবস্থা ভালো না। অভাবের কারণে ভালো ডাক্তার দেখানো বা উন্নত চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি। তাই বলে জীবন তো আর থেমে থাকবে না। অসুস্থ বাবা ও মাকে দুমুঠো খাবার যেন দিতে পারি, তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন রাস্তায় চার্জার রিক্সা চালাতে হয়।


দিপুন বলে, রিক্সা চালিয়ে যা আয় হতো তা দিয়ে কোনো রকমে সংসারটা চলতো। গত দুই-তিনদিন থেকে করোনার কারণে সারাদেশে লকডাউন দেয়ায় তেমন ভাড়া হয়না। কিন্তু কি আর করা! বর্তমানে যা আয় হয় তা দিয়ে কোনোমতে অসুস্থ বাবা-মাকে নিয়ে চলে আমাদের সংসার।


কথা হয় আর এক ভ্যানচালক এনামুল হকের সাথে সে বলে, দিপুনের বাবা সুভেন আর আমি এক সাথে চার্জার রিক্সা চালাই। অনেক দিন ধরে দিপুনের বাবা অসুস্থ থাকায় আর চার্জার রিক্সা চালাতে দেখা যায় না। অভাবের সংসার যার কারণে হয়তো তার ছোট বাচ্চা দিপুন রাস্তায় চার্জার রিক্সা চালিয়ে পরিবারের চাহিদা পুরনের চেষ্টা করছে।


দিপুনের বিষয়ে হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এমরান হোসেন দুলাল বলেন, তার বাবা সুভেন অনেক দিন থেকে অসুস্থ বিষয়টা আমিও জানি। যার ফলে মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা হয়। তার পরিবারে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে বিষয়টি দেখা হবে।


বিবার্তা/রব্বানী/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com