করোনাকালে সব শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার টাকা সরকারি অনুদান দেয়ার গুজবে কয়দিন যাবৎ গৌরীপুরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঢল নেমেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র নিতে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগুলোতে ছিল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপচে পড়া ভিড়। ফটোকপি ও অনলাইন সার্ভিসের দোকানগুলোতেও পা ফেলার জায়গা নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) থেকে গত ১৮ জানুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের অনুদানসংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
এতে বলা হয়, দুরারোগ্য ব্যাধি ও দৈব দুর্ঘটনার শিকার শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে দুস্থ, প্রতিবন্ধী, গরিব ও অনগ্রসর ছাত্র-ছাত্রীরা অগ্রাধিকার পাবে। এই অনুদানের আবেদনের সময়সীমা ৭ই মার্চ (আজ রবিবার) পর্যন্ত। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবাইকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ায় দুই জেলায় প্রত্যয়নপত্রের জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। কিন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কতৃর্পক্ষ এই বিষয়ে অফিসিয়াল কোন পরিপত্র পাওয়ার কথা অস্বীকার করে।
কিন্ত শহরে সকাল থেকেই প্রত্যয়নপত্র নেয়ার জন্য ভিড় করে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। দুপুর ১২টার দিকে গৌরীপুর সরকারি ও মহিলা ডিগ্রি কলেজ, সরকারী রাজেন্দ্র কিশোর হাই স্কুল, গৌরীপুর পাইলট বালিক উচ্চ বিদ্যালয়, নরুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয়সহ ইউনিয়ন পযার্য়ের স্কুলগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত ছাত্র-ছাত্রী ভিড় করেছে প্রত্যয়নপত্র নেয়ার জন্য। কলেজ ক্যাম্পাস, ক্লাসরুম, একাডেমি ভবনের বারান্দা থেকে শুরু করে কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। এই পরিস্থিতিতে কলেজের অধ্যক্ষ, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠান প্রধান ও অন্য শিক্ষকরা পড়েছেন বিপাকে।
এদিকে শনিবার বিকাল থেকে উক্ত নির্দেশনার আবেদনের সার্ভার বন্ধ রয়েছে। আইটি ব্যবসায়ী তাসাদ্দুল করিম জানিয়েছেন শতবার চেষ্টা করেও আমরা সার্ভারে ঢুকতে পারছি না। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।
বিবার্তা/হুমায়ুন/এনকে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]