শিরোনাম
প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান থেকে দুই কিশোরী সংশোধনাগারে
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:৫৭
প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান থেকে দুই কিশোরী সংশোধনাগারে
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকদের বাড়িতে অবস্থান নেয়া দুই কিশোরীকে সরকারি সংশোধনাগারে পাঠানো হচ্ছে। দুই কিশোরীকে প্রথমে পরিবারের জিম্মায় দেয়ার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব না হওয়ায় পরে আদালতের নির্দেশে তাদের সংশোধনাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।


শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ওই দুই কিশোরীকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি সরকারি কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে (সংশোধনাগার) পাঠানো হবে।


নান্দাইল থানার এসআই মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তাদের ত্রিশাল উপজেলার ধলায় অবস্থিত মহিলা ও শিশু কিশোরী নিরাপদ হেফাজতিদের ভবঘুরে আশ্রয়ণে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। তবে আশ্রয়কেন্দ্রটি কিশোরদের জন্য রূপান্তর করায় সেখানে কিশোরীদের রাখা হয়নি। দুই কিশোরী রাতে পুলিশের হেফাজতে ছিল। আজ তাদের কোনাবাড়ি সরকারি কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হবে।


তিনি বলেন, ওই দুই কিশোরী সম্পর্কে চাচাতো বোন। তারা নান্দাইলের স্থানীয় একটি মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এই দুজন দক্ষিণ জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের দুই কিশোরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তাদের কার্যকলাপ নিয়ে আপত্তি ওঠায় এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ-দরবারও হয়।


এরমধ্যেই ২০ ফেব্রুয়ারি চার জন মিলে উপজেলার একটি জমিদার বাড়িতে বেড়াতে যায়। দীর্ঘ সময় পার হলেও ওই দুই বোন বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, দুই কিশোরী ওই দুই কিশোরের সঙ্গে জমিদার বাড়িতে সময় কাটাচ্ছে। পরে সেখান থেকে চারজনকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। একপর্যায়ে ওই দুই কিশোরীকে তাদের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।


তবে গ্রাম্য সালিশে বিয়ের সিদ্ধান্ত হলেও তাদের বয়স বিবেচনায় রাতেই দুই কিশোরকে ছেড়ে দেয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দুই কিশোরী পরদিন (২১ ফেব্রুয়ারি) ওই দুই কিশোরের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়। অনেক বোঝানোর পরও কিশোরীদের সরাতে পারছিলেন না দুই পক্ষের অভিভাবকরা। এ কারণে গত বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক কিশোরের বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ওই দিন রাতেই নান্দাইল থানার এসআই মো. শাহীনুল ইসলাম দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় আনেন।


এসআই শাহীনুল আরো বলেন, উদ্ধারের পর ওই দুই কিশোরীকে পরিবারের জিম্মায় দেয়ার চেষ্টা করা হলেও তারা দুজনকে নিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে বাধ্য হয়েই তাদের আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের সরকারি কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।


বিবার্তা/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com