পরকীয়া প্রেমিকের জন্য নিজের তিন সন্তানকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন মা ফাহিমা খাতুন। জুসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তিন সন্তানকে খাওয়ান তিনি। এতে এক সন্তান মারা গেলেও ভাগ্যক্রমে দুই সন্তান বেঁচে যায়।
গত মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ফাহিমা খাতুন। আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার রাতে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত এসপি মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউপির উচাইল-চারিনাও গ্রামের ইজিবাইক চালক সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী ফাহিমা খাতুনের সঙ্গে পাশের বাড়ির আক্তার মিয়ার পরকীয়া প্রেম চলছিল। এক পর্যায়ে তারা বিয়ের স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ফাহিমার তিন সন্তান।
১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের দোকান থেকে ফাহিমা দুইটি লিচুর জুস কিনে এনে প্রেমিক আক্তার মিয়ার হাতে দেন। আক্তার মিয়া জুসে বিষ মেশান।
পরে আক্তার মিয়া ও ফাহিমা খাতুন তিন সন্তানকে উঠান থেকে ডেকে এনে জুস খাওয়ান। জুস খাওয়ার পরই বিষক্রিয়ায় ফাহিমার তিন শিশু সন্তান ছটফট করতে থাকে। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় তিন শিশুকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মেয়ে সাথী আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপর দুই সন্তান তোফাজ্জল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর সুস্থ হয়।
এরপরই ফাহিমা ও আক্তারের পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় ফাহিমার স্বামী সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে স্ত্রী ফাহিমাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিবার্তা/এনকে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]