শিরোনাম
গৌরীপুরে খড়ের চড়া দাম, গো-খাদ্যর অভাব
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২০, ১৬:৪১
গৌরীপুরে খড়ের চড়া দাম, গো-খাদ্যর অভাব
গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত খড়ের সমাদর বেড়েছে। স্থানীয়ভাবে ‘বন’ নামে পরিচিত এই খড়। খড় আঁটি বা পণ হিসেবেও বিক্রয় হয়ে থাকে। ৮০টি আঁটিতে এক ‘পন’হিসাব করা হয়। এই বছর অতিরিক্ত বৃষ্টিতে খড় নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বেশির ভাগ কৃষক ও খামারি বিপাকে পড়েছে গো-খাদ্য নিয়ে।


গৌরীপুর উপজেলার সর্বত্রই এই চিত্র বিরাজমান। সাধারণত খড় প্রতি আঁটি বিক্রি হয় দুই টাকায়। বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় কাঁচা ধান কেটে খড় বিক্রি করছে ধানের দামের চেয়ে ৫ থেকে ১০ গুণ বাড়িয়ে। একেকটি এক কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের কাঁচা খড়ের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকায়। এতে করে ধানের সম্ভাব্য উৎপাদন ব্যহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


খড় বিক্রি করেন এমন পাইকারি দোকানিরা বলেছেন, সরবরাহ কম থাকার কারণে এক মাস আগেও যে খড়ের আঁটির দাম ছিলো দুই টাকা, সেটি গত সপ্তাহে উঠেছে ১০ টাকায়। কোথাও কোথাও তা বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা দরে। গত দুই সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে দাম বৃদ্ধি প্রায় ১২ থেকে ১৫ গুণ। এছাড়াও, শুকনো খড় ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে। টানা বৃষ্টির কারণে ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন খড় ব্যবসায়ীরা। যার কারণে ব্যক্তি পর্যায়ে গরুর মালিক ও খামারিরা খুব বিপাকে পড়েছেন।


উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরুল হক জানান, প্রায় বছরজুড়ে বৃষ্টি হওয়ার কারণে নিজেদের খড়ের গাঁদা (বনের পুঞ্জ, কেউ কেউ বনের গোলাও বলে থাকেন) পঁচে-গলে শেষ। এখন গরু-বাছুরের খাবার সংকটের মধ্যে রয়েছি। একাধিকবার টানা বৃষ্টিতে মানুষের কষ্ট ও গবাদি পশুর খাদ্য সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে, যার কারণে গো-খাদ্য সংকটে কৃষক ও গৃহস্তদের সীমাহীন দুর্ভোগ চলছে।


বিভিন্ন এলাকার তথ্যানুযায়ী, সাধারণ কৃষকদের অনেকেই চড়া দামে খড়, ঘাস, লতাপাতাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাদ্য কিনতে না পেরে এক প্রকার বাধ্য হয়েই পানির দামে বিক্রয় করে দিচ্ছেন তাদের গৃহপালিত গরু-ছাগল। অনেক কৃষক তাদের লাখ টাকার স্বপ্নও অসহায়ের মতো নামকাওয়াস্ত দামে বিক্রয় করে দিচ্ছেন।


উপজেলার পশ্চিম ভালুকা গ্রামের আব্দুল হেলিম বলেন, আমার চারটি গরু ও দুটি ছাগল আছে। নিজের জমিতে আবাদকৃত ধানের খড় এবং কিছুদিন আগে কেনা খড় শেষ হয়ে গেছে। তাই কোনো উপায়ন্তর না দেখে বাজারে খড় কিনতে এসে যে দাম দেখছি তা দিয়ে আমার পক্ষে খড় কিনার সুযোগ না থাকায় খালি হাতেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। সামনের বাজারে হয়তো পশুগুলো বিক্রি করে দিতে হবে।


বিবার্তা/কবির/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com