পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোট ডুবে নিখোঁজ পাঁচজনের সন্ধান এখনো মেলেনি। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) মধ্যরাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে আবারো স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধারে নদীতে অভিযান পরিচালনা করছে।
নিখোঁজরা হলেন- রাঙ্গাবালী থানা পুলিশের কনস্টেবল মহিব্বুল্লাহ (৪৫), কৃষি ব্যাংক রাঙ্গাবালীর বাহেরচর শাখার পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫), এনজিও আশার রাঙ্গাবালীর খালগোড়া শাখার ঋণ অফিসার হুমায়ুন কবির (৩০), গলাচিপার আমখোলার হাসান (৩৫) ও বাউফলের কনকদিয়ার ইমরান (৩৪)। নিখোঁজদের স্বজনরা নদীপাড়ে অপেক্ষা করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল মোল্লা বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত স্পিডবোটের যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট দেয়া হয়নি। নদী উত্তাল দেখে স্পিডবোট নিয়ে ঘাটে ফিরে আসতে বললেও চালক যাত্রীদের কথা শোনেননি। লাইনম্যানরাও সচেতন ছিলেন না। এদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।
পটুয়াখালী নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্পিডবোট চালানোর কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান জানান, নদী উত্তাল থাকায় উদ্ধার অভিযান কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাঙ্গাবালীর কোড়ালিয়া থেকে গলাচিপার পানপট্টির উদ্দেশে ১৮ যাত্রী নিয়ে একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট ছেড়ে যায়। পরে ঢেউয়ের তোরে মাঝ নদীতে স্পিডবোটটি ডুবে যায়। এতে চালকসহ ১৩ জন যাত্রী সাঁতরে কিনারায় আসলেও পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন।
বিবার্তা/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]