রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জাল টাকার কারখানায় অভিযান চালিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামও জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-হুমায়ূন কবীর (৪৫), মো. জামাল (৪২), সুখী আক্তার (৩০) ও তাসলিমা আক্তার (৩০)।
সোমবার ( ১৯ অক্টোবর)গোয়েন্দা বিভাগের (গুলশান) উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, হুমায়ূনকে এর আগে র্যাব, ডিবি ও থানা-পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তার এক ভাই কাওসারও জাল টাকার কারবারি। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী। অভিযানে গ্রেফতার দুই নারী হুমায়ূনের বেতনভুক্ত কর্মচারী। জাল টাকা তৈরির জন্য বিশেষ ধরনের কাগজ তৈরি, তাতে বিভিন্ন ধরনের আঠা, নিরাপত্তা চিহ্ন বসানো ও ছাপা হওয়ার পর নোটগুলোকে মূল নোটের মতো করে কাটার জন্য হুমায়ূন ওই দুই নারীকে ১৫ হাজার টাকা এবং ১০ হাজার টাকায় চাকরি দিয়েছিলেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশকে জানিয়েছেন, হুমায়ূন ও জামাল ২০০৮ সালের দিকে দুরুল হুদা নামের এক কারিগরের কাছে জাল টাকা তৈরির কৌশল শেখেন। এরপর হুমায়ূন নিজেই জাল টাকা তৈরির কারখানা চালু করেন। জামাল শুরু থেকেই হুমায়ূনের তৈরি জাল টাকার ডিলার হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।
অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন সহকারী পুলিশ কমিশনার মহিউদ্দীন আহমেদ। তিনি জানান, এই চক্রের মূল হোতা প্রথম পাইকারি বিক্রেতার কাছে প্রতি লাখ জাল টাকা বিক্রি করতেন ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায়। পাইকারি বিক্রেতা প্রথম খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করতেন ১৪ থেকে ১৬ হাজার টাকায়। প্রথম খুচরা বিক্রেতা আবার এক লাখ টাকা দ্বিতীয় খুচরা বিক্রেতার কাছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন।
মাঠ পর্যায়ে দ্বিতীয় খুচরা বিক্রেতার হাত ধরে সেই টাকার মূল্য হয়ে যায় আসল টাকার সমান। মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনাবেচা করে এই জাল টাকা বাজারজাত করতেন।
বিবার্তা/খলিল/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]