মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম বলেছেন, চীনা নাগরিককে হত্যা করে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পিরোজপুরে ক্যাডার রাজনীতি চলবে না। চীন চলে গেলে পদ্মা সেঁতু হবে না। দেশের উন্নয়ন হবে না। টাকার জন্য যারা চীনা নাগরিককে খুন করেছেন তা আজ হোক কাল হোক বেরিয়ে আসবেই।
তিনি আরো বলেন, দুর্গোৎসব হিন্দুদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। মহালয়ার সূচনা থেকে সুরের ব্যঞ্জনা আমাদের মুসলিম সম্প্রদায়কে আকৃষ্ট করে। আমরা হিন্দু মুসলমান ভাগাভাগি করে আনন্দ উপভোগ করি। হিন্দু মুসলমানের ধর্ম ব্যবস্থার গন্তব্য একই জায়গায়। হিন্দু যে ভাষায় কাঁদে অন্যান্য সম্প্রদায় ঠিক একই ভাষায় কাঁদে। স্রোষ্টার সান্নিধ্য লাভে আমরা একই ভাবে সাধনা করি। দুর্গা যে ভাবে অন্যান্য দেব দেবীকে নিয়ে অশুরকে বধ করেছে আমরা এ থেকে শিক্ষা নিয়ে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে যারা অশুভ কাজে লিপ্ত তাদের ধ্বংস করতে পারি না? ধর্ম নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করে তারা সঠিক ভাবে ধর্ম পালন করে কিনা সন্দেহ। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমি মন্ত্রী হবার পরে পিরোজপুরে কোনো হিন্দুর জায়গা দখল করা হয়নি। কোনো হিন্দু মেয়ে লাঞ্ছিত হয়নি। আমি কোনো অশিক্ষিত লোককে স্কুল কলেজর সভাপতি নিয়োগ দেইনি।
শনিবার সকাল ১০টায় নাজিরপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের সাথে মত বিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, কোনো পূজা মন্দিরে কোনো মেয়েকে ইভটিজিং করা হলে তাকে ধরে সাথে সাথে কারাগারে প্রেরণ করবেন।
বাংলাদেশে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নাজিরপুর শাখার সভাপতি সুখরঞ্জন বেপারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য সাধনা রানী হালদার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজ, পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী শাহনেওয়াজ, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাকিম হাওলাদার, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা রেবেকা খান, নাজিরপুর উপজেলা চেয়াম্যান অমূল্য রঞ্জন হালদার, নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ওবায়েদুর রহমান, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টি সুরঞ্জিত দত্ত লিটু, সাবেক ট্রাস্টি বিপুল বিহারী হালদার, পিরোজপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ সদস্য আতিয়ার রহমান চৌধুরী নান্নু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মৃদুল কান্তি মাঝি।
অনুষ্ঠান শেষে উপজেলার ১১৯টি পূজা মন্দিরের সভাপতিদের হাতে মন্ত্রীর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আর্থিক অনুদান তুলে দেন। একই অনুষ্ঠানে উপজেলার ২২টি হতদরিদ্রপরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর জমি আছে ঘর নাই আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণ শেষে তাদের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন।
বিবার্তা/মশিউর/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]