দিনাজপুরের বিরলে ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে দু'দিন ধরে ধর্ষণ করেছে দুই যুবক। এঘটনায় তাদের সহায়তা করেছে, এক স্বামী পরিত্যক্তা নারী। এ ঘটনার সাথে জড়িত এক ধর্ষক লিটন (৩০) ও ধর্ষণের সহায়তাকারী সানু (২৪)কে গ্রেফতার করে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে বিরল থানায় একটি মামলা করেছেন।
বিরল থানার ওসি (তদন্ত) মো.আব্দুল কাদের জানিয়েছেন, বিরল উপজেলার ১০ নং রানীপুকুর ইউনিয়নের জগৎপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের কিশোরী মেয়েকে ৩ অক্টোবর দুপুরে বাড়ির পাশের পাকা রাস্তা থেকে প্রতিবেশি স্বামী পরিত্যক্তা নারী সানুর সহায়তায় লিটন (৩০) ও মোস্তাফা নামে দুই যুবক অপহরণ করে কাঞ্চনঘাট এলাকায় পিকনিক স্পট" জীবন মহল" এ নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে লিটন ও মোস্তফা। এ সময় ধর্ষণে সহায়তা করে সানু।পরে সেখান থেকে শহরে এসে বাসে করে ওই কিশোরীকে তারা ঢাকায় নিয়ে যায়। পর দিন অর্থ্যাৎ ৪ অক্টোবর সকালে ঢাকার বাইপাইল এলাকায় একটি হোটেলের কক্ষে ওই কিশোরীকে আবারো লিটন ও মোস্তফা কয়েকবার ধর্ষণ করে। এসময়ও ধর্ষণে সহায়তা করে সানু।
কিশোরীর অবস্থা খারাব হলে ওই দিন রাতেই আবারো বাসে করে দিনাজপুরে নিজ বাড়ির কাছে পৌঁছে দেয় সানু।
বাড়িতে ফিরে ঘটনাটি ওই কিশোরী তার পিতা-মাতাকে বলে দেয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আযমের সহায়তায় ৫ অক্টোবর বিকেলে মামলা করে ধর্ষিত কিশোরীর পিতা জাহাঙ্গীর আলম। পুলিশ রাতেই ধর্ষক লিটন ও ধর্ষণে সহায়তাকারী সানুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তবে,পালিয়ে যায় আরেক ধর্ষক মোস্তফা। লিটন ও সানুকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ষণের প্রথম স্থান 'পিকনিক স্পট 'জীবন মহল' এ সরজমিনে গিয়ে দেখা মেলে অসংখ্য কিশোর-কিশোরী এবং যুবক-যুবতির সমাগম। করোনা পরিস্থিতিতে যেখানে নেই কোনো স্বাস্থ্যবিধি'র বালাই। যে যার মতো করছে,বেহাল্লাপনা।
এবিষয়ে ঢাকায় অবস্থানর জীবন মহলের স্বত্তাধিকারী জাতীয় পার্টির নেতা মো আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ওরফে জীবন চৌধুরীর সাথে এ প্রতিবেদকের মুঠোফোনে কথা হয়। তিনি বলেন,তার জীবন মহলে এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তিন জন সাংবাদিক তার জীবন মহলে গিয়ে এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলে চাঁদা (টাকা) দাবি করেছে। তিনি ওই সাংবাদিকদের বেঁধে পেটানোর জন্য মুঠোফোনে তার কর্মকর্তা- কর্মচারীদের নির্দেশ দিলে ওই সাংবাদিকরা পালিয়ে যায়। তিনি বিরল থানার ওসির সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। ওসি কিছুই জানেন না বলেও তিনি এ প্রতিবেদককে জানান। যে সাংবাদিকরা তার জীবন মহলে গিয়েছিলেন,তাদের চাকরি খেয়ে ফেলারও হুমকি দেন তিনি।
কিন্তু, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই তিন সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনে সেখানে গিয়ে স্পট দেখে, তারা জিজ্ঞাসাবাদ করে চলে এসেছেন। পালিয়ে আসার কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
এশুধু এই ধর্ষণের ঘটনা নয়, জীবন মহলে বিভিন্ন অপকর্ম সংঘটিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
বিবার্তা/শাহী/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]