শিরোনাম
কুড়িগ্রামে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:২৬
কুড়িগ্রামে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

কুড়িগ্রামে ৫ম দফা বন্যায় আমন ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নতুন করে আরো ২৫টি চর প্লাবিত হয়েছে। এতে করে ১২০টি চরের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।


গত চব্বিশ ঘন্টায় ২৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ বছরে সর্বোচ্চ। ধরলা নদীর পানি অপরিবর্তিত থাকলেও বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


এছাড়াও ব্রহ্মপূত্র, তিস্তা, দুধকুমরসহ ১৬টি নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেইসাথে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। জেলার ৯টি উপজেলার ৬৭টি উন্মুক্ত পয়েন্টে ভাঙন তীব্র রুপ ধারণ করেছে।


এদিকে বন্যায় ঘরবাড়ি, আবাদিজমি, লেট্রিন, নলকুপ পানিতে তলিয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও সেনিটেশন সমস্যা। বন্যায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে গ্রামিণ যোগাযোগ ব্যবস্থা। লোকজন গবাদিপশু নিয়ে আবার বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।


সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: দেলোয়ার হোসেন জানান, পরপর ৩ দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা নতুন করে ঘরে দাড়ানোর জন্য বাইরের জেলা থেকে আমন চারা কিনে এনে লাগিয়েছিলেন। তা ৫ম দফা বন্যায় আবার নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।


সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, আমার ইউনিয়নের ধরলা নদীর অববাহিকার ঘর-বাড়ি নতুন করে প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি নদী ভাঙ্গনে কমপক্ষে ৭০টি পরিবার নি:স্ব হয়ে পড়েছে। ঘর-বাড়ি হারানো এসব পরিবারকে শুধু সরকার চাল সহায়তা দেয়া হয়েছে।


কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের সহকারি পরিচালক সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত চব্বিশ ঘন্টায় ২৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা চব্বিশ ঘন্টার রেকর্ডে এ বছরের সর্বোচ্চ। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত প্রবাহমান থাকবে বলে তিনি জানান।


জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মো. শামসুজ্জামান মিয়া জানান, পঞ্চম দফা বন্যায় ১৬ হাজার ৭৭৯ হেক্টর ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এরমধ্যে রোপা আমন ১৫ হাজার ৬৯৭ হেক্টর, মাসকালাই ৬৫৪ হেক্টর, শাকসবজি ৩৫০ হেক্টর এবং চিনা বাদাম ৮০ হেক্টর।


কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, জেলার বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৮৫ মেট্রিক টন চাল, ১ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ৪ লাখ টাকা গবাদি পশুর খাদ্যের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নতুন করে ২ হাজার প্যাকেট শুনকো খাবার, ১০ লাখ টাকা ও ২শ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।


বিবার্তা/সৌরভ/এসএ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com