শিরোনাম
গৌরীপুরে সেতুর মূল স্প্যান ফেটে দুই ভাগ!
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২০, ১৮:৩০
গৌরীপুরে সেতুর মূল স্প্যান ফেটে দুই ভাগ!
গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের চাহিদার পর স্থানীয় একটি খালের ওপর সেতু নির্মাণ হলেও ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে এই সেতুটির কাজ শেষ না হতেই মাঝখানের স্প্যান ফেটে দুই ভাগ হয়েছে। দুটি অংশ একে অপরের বিপরীত দিকে চলে গেছে।


এ অবস্থায় চলতি মৌকারের ৩২সুমে খালের পানির স্রোতের সঙ্গে সেতুটি ভেঙে পড়া ছাড়াও সর লাখ টাকা পানির স্রোতে ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কোনাপাড়া থেকে বায়রাউড়া নয়া খালের ওপর সেতুটির ক্ষেত্রে।


স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মসূচিতে ৩৬ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণের দরপত্র আহবান করা হয়। গৌরীপুর সদর ইউনিয়নের কোনাপাড়া থেকে বায়রাউড়া নয়া খালের ওপর আনোয়ার পুলিশের বাড়ির উত্তর পাশে সেতুটির অবস্থান নির্ধারণ করা হয়।


সেতুটির ব্যয় ধরা হয় ৩২ লাখ ৪১ হাজার ৪৩৬ টাকা। গত জুন মাসের শেষের দিকে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়ে শেষ হয় আগস্ট মাসের শুরুতে। এর মধ্যেই সেতুটির মূল স্প্যান ছাড়াও পাশের দেয়ালের মাটি সরে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।


বহু কাঙ্ক্ষিত এই সেতু নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নামকাওয়াস্তে নির্মাণ করায় ব্যবহারের আগেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানায়, ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ শুরু করলে তা দৃশ্যমান হয়। তাছাড়া কাজ করার সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মর্জিমতো সেতুর পাইলিং ৮০ ফুটের পরিবর্তে ৩৫-৪০ ফুট গভীরে পাইলিং করে ঢালাইয়ের কাজ শেষ করেছে।


ঢালাইয়ের কাজে কাদা মেশানো বালু, নিম্নমানের পাথর ও মরা পাথর এবং সিঙ্গেল পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। তখন অনেকেই কাজে বাধা দিলেও ঠিকাদার কর্ণপাত না করেই তড়িঘড়ি কাজ সম্পন্ন করেন।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাজটি তদারকি করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের উপপ্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, এখানে সেতুর প্রয়োজন ছিল ৫৫ থেকে ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের। এ অবস্থায় ৩৬ ফুট হওয়ায় পানির স্রোতে স্প্যানে ফাটল ধরেছে। ঠিকারদারকে বলা হয়েছে সেতুটি পুনর্নির্মাণ করে দিতে। সেতুটি নির্মাণ করে শহীদ এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর প্রোপ্রাইটর মো. মাজহারুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


গৌরীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল রানা সাংবাদিকদের জানান, ফাটলের ঘটনা তিনি দেখেছেন। এ অবস্থায় ঠিকাদারকে বাকি টাকা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। কাজ পুনর্নির্মাণ করলেই বিল পাবে।


বিবার্তা/হুমায়ুন/এসএ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com