পৃথক ঘটনায় ঢাকার সাভার, ধামরাই ও সিংগাইর এলাকায় শিশুসহ ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব জায়গায় ছয় জন নিহত হওয়ার খবর পেয়ে সংশ্রিষ্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে রোজিনা খাতুন নামের (৪০) এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ৩১ জুলাই অসুস্থ অবস্থায় সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকা থেকে রোজিনাকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য স্থানীয়রা ভর্তি করে। আজ সকালে তার মৃত্যু হলে এঘটনায় তার স্বজনরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

এদিকে সকালে একই সময় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে হামিদুর রহমান নামের (৪০) এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি ধামরাইর মুড়ারচর এলাকায়। গত কোরবানির ঈদের তৃতীয় দিন ধামরাইর নিজ বাড়ি থেকে নরসিংদী জেলায় শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। পরে তিনি সেখানে গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করলে আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহতের পরিবারের দাবি তাকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করে থাকতে পারে।

এছাড়া ধামরাইর নওগাঁও এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে ধামরাইর কসমস এলাকা থেকে আলাউদ্দিন নামের (৩২) এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই যুবক অজ্ঞাত গাড়ি চাপায় মারা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এছাড়াও সাভারের হেমায়েতপুরের পাশে সিংগাইরের বাস্তা এলাকা থেকে এক শিশুসহ দুই জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত দুইজন পিকআপ ভ্যান দুর্ঘটনায় মারা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে সংশ্রিষ্ট থানার ওসিরা জানিয়েছে এসব লোকের মৃত্যুর ঘটনা তারা তদন্ত করে দেখছেন।

বিবার্তা/সরিফুল/জাই