স্বাধীনতার ৪৯ বছরে লাল-সবুজের বাংলাদেশ। স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়া রাজশাহীর তানোর উপজেলার আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা নাইকা মার্ডি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছেন। তবে তার দাবি, দীর্ঘ এক যুগ ধরে বসতবাড়ির মাত্র ৪ শতক খাস জমি নিজের নামে করতে পারেননি তিনি। ফলে ৪ সন্তানের ভবিষৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ভূমিহীন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।

এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার মোহাম্মদপুর আদিবাসীপাড়ার নাইকা মার্ডি সরকারি ৪ শতক জমিতে খাস জমিতে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করছেন দীর্ঘদিন।কিন্তু সরকারি ওই খাস জমিতে তৈরি বাড়ির মাত্র ৪ শতক জমি নিজের নামে বন্দোবস্ত করতে গত এক যুগ বছর ধরে ভূমি অফিসে ধর্ণা দিয়েও নিজের নামে করতে পারেননি।

মুক্তিযোদ্ধা নাইকা মার্ডি আক্ষেপ করে বলেন, ‘জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি প্রায় ৪৯ বছর হলো। কিন্তু নিজের বাড়ির মাত্র ৪ শতক জমি নিজের নামে করতে পারিনি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার মৃত্যুর পর সন্তানরা এই বাড়িতে থাকতে পারবে কি না জানি না। বেঁচে থাকতে এই বাড়িটা নিজের নামে দলিল করার জন্য চেষ্টা করে এক যুগও তা করতে পারিনি। সরকারের আছে আমার আকুল আবেদন বাড়ির জমিটি আমার নামে করে দেয়া হোক।’

এ বিষয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার নুরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় দর্লীয় নেতারা মুক্তিযোদ্ধাদের তেমন কোন গুরুত্ব দেন না। এ কারণেই নাইকা মার্ডির মত দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধারা তাদের বসতবাড়িটুকুর জমি নিজের নামে করতে পারেন না। তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ নিয়ে ইউএনও সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, দ্রুত বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে দেখে ওই জমি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাইকা মার্ডির নামে বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করা হবে।

বিবার্তা/অসীম/এনকে