গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলাস্থ তৈতয়া নামক এলাকায় একটি বাসা বাড়িতে নকল ডিটারজেন্ট পাউডার, সরিষার তৈল ও নিম্নমানের চা পাতার কারকানায় অভিযান চালিয়েছে এনএসআই। বৃহস্পতিবার এই অভিযান চালানো হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত দুই দিন ওই এলাকায় গোপনে রেকি করে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়। উক্ত বিষয়টি বিভাগীয় যুগ্ম পরিচালক, সিলেটকে জানানো হয়। পরবর্তীতে পরিচালক (অভ্যঃ) মহোদয়ের মৌখিক অনুমতি স্বাপেক্ষে বিভাগীয় যুগ্ম পরিচালক মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় জেলা এনএসআই, হবিগঞ্জ এর উপ-পরিচালক মো: আজমুল হোসেন এবং সহকারী পরিচালক মো: হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে একটি টিম, হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশের একটি টিম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাশফিকা হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ওই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে একটি বাসা বাড়ির ভিতরে কারখানা তৈরি করে কোনো ধরনের অনুমোনদন ছাড়াই সুপার এক্সেল ব্র্যান্ডের ডিটারজেন্ট পাউডার, নূরে মদিনা ব্র্যান্ডের সরিষা তৈল ও নিম্নমানের চা পাতা প্যাকেটজাত করা অবস্থায় তিনজন মালিকসহ চারজন কর্মচারীকে হাতেনাতে আটক করা হয়। ওই স্থান থেকে জেলা এনএসআই, পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের যৌথ টিম নয়টি বড় বস্তা (৬৩০ কেজি নকল পাউডার), ১৫ টিন সরিষা তেল (৩০০ লিটার) ও নিম্নমানের চা পাতাসহ প্যাকেটজাতকরণের নানা ধরনের বোতল, প্যাকেটসহ ওয়েট মেশিন, একটি মোটরসাইকেল এবং প্যাকেজিং মেশিন উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
অননুমোদিতভাবে নকল ডিটারজেন্ট পাউডার, সরিষার তৈল ও নিম্নমানের চা পাতা প্যাকেটজাত ও বাজারজাতকরণের দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ২০০৯ (৫২) ধারায় (১) হারুন মিয়াকে ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডসহ এক লাখ টাকা, (২) মাসুক মিয়াকে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডসহ এক লাখ টাকা এবং (৩) মিজানুর রহমানকে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডসহ এক লাখ টাকা করে সর্বমোট তিন লাখ টাকা জরিমানা প্রদান করেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাশফিকা হোসেন। পাশাপাশি উক্ত নকল কারখানাটি সিলগালা করে দেয়া হয়।
বিবার্তা/জাই