শিরোনাম
গৌরীপুরে নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে এমপি ও ডিসি
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২০, ২২:০৬
গৌরীপুরে নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে এমপি ও ডিসি
গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার একাংশ এলাকা ভাংনামারী ইউনিয়নের উজান কাশিয়ার চরের কয়েকটি গ্রাম ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের কবলে পড়েছে। এর ফলে ইউনিয়নের সরকারি আবাসন প্রকল্পসহ কৃষি জমি, পোল্ট্রি ফার্ম, গরুর ফার্ম সহ শত শত বাড়িঘর বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে ভাঙনের কারণে উজান কাশিয়ারচর এলাকাসহ কয়েক গ্রামের মানুষের বিদ্যুৎ সুবিধার জন্য বাস্তবায়িত হওয়া ১১ কেভি বিদ্যুৎতের নতুন লাইন বিলীন হয়ে যাচ্ছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভাংনামারী ইউনিয়নের উজান কাশিয়ার চরের প্রায় শতাদিক একর জমি নদের ভাঙন থেকে রক্ষা করতে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল। পূর্বে একাধিকবার এই প্রচেষ্টা নেয়া হলেও তা কার্যকর না হওয়া চলতি বছরের নদের ভাঙনে এলাকার নতুন বিদ্যুতের খুটির লাইনসহ কয়েকটি গ্রাম পুরোপুরিভাবে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সেই সাথে এলাকায় অবস্থিত সরকারি আবাসন প্রকল্পসহ প্রায় দুই শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।


স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা রক্ষার জন্য ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে হয়েছিলো, এখনো পর্যন্ত সেই তৎপরতা অব্যহত আছে, গত দুই বছরে উজান কাশিয়ার চর এলাকার আব্দুর রহমানের গোদারা ঘাট থেকে মনিরুজ্জামান মনিরের বাড়ি পর্যন্ত ৬০০ থেকে ৭০০ মিটার এলাকা ভাঙনের জন্য সবচেয়ে বেশি যুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।


ওছাড়াও কেবি আই রোড থেকে সুতিয়াখালী খেচুর মোড় পর্যন্ত এলজিইডির একমাত্র রাস্তাও ভাঙনের মুখে পড়বে বলে স্থানীয়দের আশঙ্কা। উজান কাশিয়ার চর এলাকার কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, নদটি বিদ্যুতের খুটির লাইন থেকে প্রায় দুইশত ফিট দূরে অবস্থিত ছিলো। ভাঙনের ফলে দ্রুতই বিদ্যুত খুটি ধসে পড়াসহ এলাকার অনেকগুলো বাড়িঘরও ভাঙনের মুখে পতিত হয়েছে। যদি পূর্ব থেকেই এর ভাঙন ঠেকানো যেত তাহলে হয়তো বিদ্যুতের খুটিগুলো রক্ষা করা যেত স্থানীয়দের দাবি।


এই বিষয়ে জানতে চাইলে, ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুন নুর খোকা বলেন, “আসলে উজান কাশিয়ার চর এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিলো বিদ্যুৎ। আর এই স্বপ্ন যখন বাস্তবায়িত হতে চলছে ঠিক তখনই ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বিদ্যুৎ লাইনের খুটিসহ এলাকার অনেক বাড়িঘর এমন ক্ষতির সম্মুখীন, খুটি দেয়ার আগে যদি নদী রক্ষা বাদ দেয়া যেতো তাহলে হয়তো বিদ্যুতের লাইনটি রক্ষা করা সম্ভব হতো বলে জানান তিনি। বন্যায় ভাংনামারী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গন ধরেছে, যার ফলে ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ভেঙে গৃহহীন হয়ে পড়েছে কয়েক শতাধিক মানুষ, ভাঙনের কারণে ঘরবাড়ি, স্কুল প্রতিষ্ঠান, পোল্ট্রি ফার্ম, গো ফার্মসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এমন খবর শুনে সোমবার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন স্থানীয় এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দীন আহমেদ ও জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান। ইউনিয়নের ভাটীপাড়া, উজান কাশিয়ার চর, খোদাবক্সপুর সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন তারা। এসময় সাথে ছিলেন-পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী, গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেঁজুতি ধর, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মফিজুন নূর খোকা। এসময় তারা ভাঙন ঠেকাতে তড়িৎ গতিতে ব্যবস্থা গ্রহণ সহ ক্ষতিগ্রস্ত দের সহায়তার আশ্বাস দেন।


বিবার্তা/হুমায়ুন/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com