উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে দ্বিতীয় বারের মত পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
এদিকে যমুনায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আবারো প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। দ্বিতীয় দফায় তলিয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চলের ফসলি জমি। পানি উঠতে শুরু করেছে নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরে।
সোমবার (১৩ জুলাই) ভোরে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি ১৩ দশমিক ৩৮ ও কাজিপুর পয়েন্টে ১৫ দশমিক ৫১ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কাজিপুর পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার (১৫.২৫ মিটার) ২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার (১৩.৩৫ মিটার) ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টা যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এর আগে জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। জুনের শেষে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্টে ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। ২ জুলাই থেকে টানা ৯ দিন পানি কমার পর ১০ জুলাই থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যমুনার অভ্যন্তরীণ চারঞ্চলগুলো দ্বিতীয় দফায় প্লাবিত হচ্ছে। আবারো বন্যা কবলিত হয়ে পড়ছে জেলার ৫টি উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নের মানুষ। ইতোমধ্যে বিপদৎসীমা অতিক্রম করায় ভয়াবহ বন্যা আতঙ্ক বিরাজ করছে চরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে।
সদর উপজেলার মেছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ ও রতরকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, কয়েকদিন আগে প্রথম দফা বন্যা শুরু হয়। সেই পানি নামতে না নামতে ফের বাড়ছে যমুনার পানি। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় বারের মতো বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে চরের মানুষগুলো। ইতোমধ্যেই অনেক বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে বলে জানান এই দুই জনপ্রতিনিধি।
বিবার্তা/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]