করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দীর্ঘ ১০৫ দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল দিয়ে এবার ভারতে বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানি শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে ৫ দিন বন্ধ থাকার পর স্বাভাবিক হয়েছে আমদানি কার্যক্রম।
রবিবার (৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় গার্মেন্টসামগ্রী নিয়ে পাঁচটি বাংলাদেশি ট্রাক ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এরপর আমদানি বাণিজ্য শুরু হয়। আজ ভারত থেকে শুধু কাঁচামালের কয়েকটি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করবে। আমদানি-রপ্তানি চালু হওয়ায় বেনাপোলসহ পেট্রাপোল বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ মার্চ থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায় দুই দেশের মধ্যে। পরে দফায় দফায় বৈঠকের পর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের নির্দেশে গত ৭ জুন থেকে সীমান্ত বাণিজ্য সচল হয়। এরপর থেকে ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে আসছে। কিন্ত বাংলাদেশী কোনো পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়নি।
বেনাপোলের বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, করোনা সংক্রমণের শঙ্কায় ‘নিরাপত্তাজনিত’ কারণ দেখিয়ে ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে কোনো রপ্তানি পণ্য গ্রহণ করেনি। ফলে আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও ব্যাহত হচ্ছিল রপ্তানি। বাড়ছিল বাণিজ্য ঘাটতি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল এদেশের রপ্তানিকারকরা। বৈদেশিক আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল দেশ।
রপ্তানি পণ্য না নেয়ায় বাধ্য হয়ে বুধবার সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে রপ্তানিকারকরা এক হয়ে বন্ধ করে দেয় আমদানি বাণিজ্য কার্যক্রম। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের দফতরে। পরে শনিবার এক বৈঠকে রপ্তানির বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে রপ্তানি চালুর নির্দেশ দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, এর আগে ভারতীয় বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের সাথে একাধিকবার আলোচনা করেও রপ্তানি চালু করা যায়নি। এই অবস্থায় গত বুধবার এদেশের রপ্তানিকারকরা ভারতের পণ্যবাহী যান এদেশে প্রবেশ ঠেকিয়ে দেন। এরপরই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই বাংলাদেশি পণ্য গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।
বিবার্তা/এনকে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]