কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি গত এক সপ্তাহ ধরে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুর্ভোগ বেড়েছে প্রায় দেড় লক্ষাধিক বানভাসী মানুষের।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৪৮ সেন্টিমিটার এবং ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিশেষ করে চরাঞ্চগুলোর বন্যা কবলিত এলাকার ঘরবাড়ী থেকে পানি নেমে না যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের সংকট বেড়েই চলেছে। সরকারিভাবে ত্রান তৎপরতা শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। চারণ ভূমি তলিয়ে থাকায় গবাদি পশু খাদ্য সংকট নিয়েও বিপাকে পড়েছেন বন্যা কবলিত মানুষেরা।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় বন্যার পানিতে ডুবে আরো ২ শিশুসহ এ পর্যন্ত ৫ শিশু ও এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে সদর উপজেলার ২ শিশু, চিলমারী উপজেলার ১ শিশু ও ১ বৃদ্ধ, নাগেশ্বরী উপজেলার ১ শিশু ও উলিপুর উপজেলার ১ শিশু রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানায়, বন্যার্তদের জন্য ৩০২ মেট্রিক টন চাল ও শুকনো খাবার বিতরণের জন্য ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা বিতরণ চলছে।
নতুন করে আরো ১শ মেট্রিক টন চাল ও শুকনো খাবারের জন্য ১ কেটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। নতুন বরাদ্দ পেলে তা বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।
বিবার্তা/সৌরভ/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]