ঝিনাইদহের শৈলকুপায় প্রায় ১২ লাখ টাকা বাজেটের ‘গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প’ নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ কাজে নতুন নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের বদলে পুরোনো ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ তোলেন এলাকাবাসী।
উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের তমালতলা খালের পুরোনো কালভার্ট ভেঙে নতুন করে নির্মাণে এ অনিয়ম হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ভাল করে কাজ করার তাগিদ দেন। কিন্তু এলাকাবাসীর বাধা উপেক্ষা করে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ঠিকাদার এ কাজ চালাচ্ছেন।
জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের অনুন্নয়ন বাজেটের আওতায় কুষ্টিয়ার পওর বিভাগীধীন কালভার্ট নির্মাণের কাজ পায় কুষ্টিয়ার ন্যাচারাল নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করার অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। এমনকি কালভার্ট কলারে রডের বদলে শুধু নিম্নমানের খোয়া, ঢালায়ের থিকনেস ইঞ্চি কম, ১৬ মিলি রডের বদৌলতে ১০ মিলি রড ব্যবহার ও লাল বালির জায়গায় স্থানীয় ধুলাবালি ব্যবহার করেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কালভার্ট দুটির প্রায় অংশের কাজ শেষ করা হয়েছে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে পুরোনো কালভার্টের ভাঙা নির্মাণসামগ্রী। এর মধ্যে রয়েছে পুরোনো ইট, বালু ও সুরকি। কাজের অনিয়ম ঢাকতে ও জনগণের চোখকে আড়াল করতে কাজের সাইনবোর্ডটিও উঠিয়ে রাখে পাশের এক বাড়িতে। যা দেখে বোঝা যায় কত বড় অনিয়ম এই কাজে।
এমন সব কর্মকান্ডে ঠিকাদারের বিরদ্ধে প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছেন স্থানীয়রা। এব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক এহসানুল হক মুঠোফোনে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কালভার্ট নির্মাণে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কাজের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট শাখা কর্মকর্তা (এসও) লাল্টু হোসেন বলেন, কাজের অনিয়মের বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারবো না। যা জানার আমার উপর মহলে যারা দায়িত্বে আছে অফিসে এসে তাদের সাথে কথা বলেন।
বিবার্তা/তারিক/এনকে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]