লক্ষ্মীপুরের রায়পুর সরকারি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ইফতার না পেয়ে নিজেই ইফতার কিনতে বাজারে গেলেন করোনা আক্রান্ত এক সাংবাদিক। ‘দৈনিক ভোরের দর্পন’ পত্রিকায় রায়পুর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করা এ রোগীর অভিযোগ বার বার চিৎকার করে ডাকার পরেও কাউকে না পেয়ে বাধ্য হয়েই বাজারে যেতে হয়েছে তাকে।
মঙ্গলবার (১৯ মে) বিকেলে শেখ আব্দুল্লাহ রুবেল নামে এই সাংবাদিক অভিযোগ করে আরো বলেন, হাসপাতালের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ জাকির হোসেনের মুঠো ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে করোনা আক্রান্ত আব্দুল্লাহ রুবেল বলেন, আমার শরীরে বাহ্যিক কোন লক্ষণ নেই। গতকাল আমার করোনা পজিটিভ আসার পর উনারা আমাকে এখানে ভর্তি করায়। রোজা রাখার কারণে ইফতার করার প্রয়োজন ছিলো। অনেক ডাকাডাকির পরও কেউ না আসায় বাধ্য হয়েই মাস্ক, গ্লাভস পরে রায়পুর বাজারে গিয়ে ইফতারী কিনে এনে খেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, সেহরি খাওয়ার জন্য অনেক চিৎকার চেঁচামেচি করেও কাউকে পাইনি। একটু পানি খেয়েছি, তাও ঠান্ডা। এখন ভরা পেটে ওষুধ খাবো কি করে? পেটতো খালি। সন্ধ্যা রাতে ডিম দিয়ে ঠান্ডা ভাত দিয়েছে। এখানে গরম পানির কোন ব্যবস্থা নেই। ভাপ নিবো কি করে? সকল রোগীর একই অবস্থা। পরে কলা-পাউরুটি এনে খেয়েছে।
তিনি স্থানীয় এক সাংবাদিকের কাছে আকুতি করে বলেন, ভাই আমাকে বাঁচান। আমাকে বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রায়পুর হাসপাতালের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ জাকির হোসেনের মুঠো ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আজ থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সিভিল সার্জনের মুঠো ফোনেও একাধিকবার কল দেয়া হয়। কিন্তু তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, রায়পুরে এ পর্যন্ত ৩৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪ জনকে রায়পুর সরকারী হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রাখা হয়েছে। এখানে মোট বেড রয়েছে ২০টি।
বিবার্তা/এনকে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]