শিরোনাম
দিনাজপুরে মেস ও বাসা ভাড়া নিয়ে চরম বিপাকে শিক্ষার্থীরা
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২০, ১৮:৫১
দিনাজপুরে মেস ও বাসা ভাড়া নিয়ে চরম বিপাকে শিক্ষার্থীরা
দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী লকডাউনের কারণে মেস ও বাসা ভাড়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থীরা।


উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ট এই বিদ্যাপীঠটিতে এগারো হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। যাদের অধিকাংশই মধ্যবিত্ত, নিন্ম-মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা। এসব পরিবার থেকে উঠে আসা অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পড়াশোনার ব্যয় টিউশনি ও খন্ডকালীন চাকুরির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।


দেশের এই লকডাউনে টিউশনিতে যেতে না পারায় সেই আয় এবং রোজগারের পথটিও বন্ধ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের পিতা-মাতাও অর্থেও যোগান দিতে পারছে না। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা না থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী ভাড়া থাকেন শহর এবং ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকার মেসে। কেউ কেউ বাসা বাড়ির রুম ভাড়া নিয়েও থাকেন।


করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মেয়াদ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ায় বর্তমানে নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই করোনা পরিস্থিতিতেও মেস বা বাসার মালিক ফোন করে ও খুদে বার্তা পাঠিয়ে ভাড়া পরিশোধের কথা বলছেন। যা অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে।


বিশেষ করে যে শিক্ষার্থীদের পারিবারিকভাবে অস্বচ্ছল কিংবা নিজেরা টিউশনি করে খরচ জোগাড় করতো সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের। তাই অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ মেস এবং বাসা ভাড়া মওকুফের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন।


বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে মেস মালিক সমিতির কাছে সাধারন ছুটিকালীন সময়ে মেস ভাড়া মওকুফ এবং পরিশোধ এর সময়সীমা বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়ে ২৫ এপ্রিল মেস মালিক সমিতির সভাপতি বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ।


চিঠি পেয়ে মেস মালিক সমিতি বসতে সম্মত হলেও পরে কোন এক অজ্ঞাতকারনে তাঁরা আর বসেনি বলে জানান ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড.ইমরান পারভেজ।


তানভীর আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, এই পরিস্থিতিতে অনেকের পরিবারের পক্ষে মেসের ভাড়া দেওয়া কঠিন। যারা টিউশনি করে চলতো এখন তাঁদের বাড়িতে বসে থাকতে হচ্ছে। কীভাবে তাঁরা মেস ভাড়া দিবে সেটাও ভাবার বিষয়। সবাইকে পরস্পরের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে, না হয় এই দূর্যোগ কেটে উঠা কষ্টকর হয়ে যাবে। মানবিক কারনে শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়ার বিষয়ে ছাড় দেয়া উচিৎ।


এ বিষয়ে অধ্যাপক ড.ইমরান পারভেজ বলেন, মেসে অবস্থানকারী অনেক ছাত্র-ছাত্রী অসচ্ছল ও দরিদ্র পরিবার থেকে পড়তে এসেছে। অনেক শিক্ষাথীরা টিউশনি করে নিজ খরচ যোগাড় করে থাকে যা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।


এছাড়াও অনেকের পরিবার বিভিন্ন রকম উৎস থেকে আয় করে থাকেন, যা এখন বন্ধ রয়েছে। সারাদেশের অবস্থা বিবেচনা করে এ দূযোর্গকালীন সময়ের জন্য এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে আপনাদের মহানুভবতা এবং উদারতা একান্তভাবে কামনা করছি।


বিবার্তা/শাহী/এসএ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com