প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্ব এখন স্থবির। এমন অবস্থায় ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ। তাই সাধারণ মানুষের সুরক্ষায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করণে বগুড়ায় নবাব বাড়ি রোডে বসেছে সবজি ও মাছের বাজার।
প্রতিদিন এ বাজার চলবে সকাল ৯টা বিকাল ৪টা পর্যন্ত। বাজারে ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা, বার্মার আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা, করল্লা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-২২ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা, ডাটা বিক্রি হচ্ছে প্রতি আটিঁ ১০-১২ টাকা, মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০-২৫ টাকা, বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকা, ঢেড়স বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০ টাকা, লাউ বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৩০ টাকা, ধনিয়া পাতা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০ টাকা দামে। পুঁই শাক বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০-১২ টাকা, পটল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি কেজি ৩০ টাকা, লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা হালি, ঝিঙ্গে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০ টাকা , শশা বিক্রি চলছে প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা , গাজর বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫ টাকা , লাল শাক বিক্রি চলছে আটিঁ ২০ টাকা, সীম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০ টাকা কেজি দামে।
জাহিদুল নামের এক সবজি ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা যায় সবজির দাম করোনাভাইরাসের এই লকডাউনের কারণে অনেক কমে গেছে। লোকজন বাহিরে কম থাকার কারণে আমাদের কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে আমাদের মত সাধারণ সবজি ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে্
ফলের বাজার ঘুরে দেখা যায় দেশী বেল কেনা ১৪ টাকা বিক্রি চলছে ২০ টাকা, কলা ছোট বড় ভেদে ২০ থেকে ২৫ টাকা হালি, তরমুজ বিক্রেতাদের মণ প্রতি কেনা পড়ে ৯০০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি চলছে ৩০ টাকা দামে, মাল্টা কেনা ১৫২ থেকে ১৫৩ টাকা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি, আপেল কেনা ১০০ টাকা বিক্রি চলছে ১২০ কেজি, ডাব কেনা ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দামে।
বাপ্পী নামের এক ফল ব্যবসায়ী সাথে কথা বললে জানা যায় ফলের বাজারের দাম ওঠা নামা করে আমাদের একেক দিনে একেক রকম দামে ফল কিনতে হয় এই লকডাউন ও বৃষ্টিতে আমাদের ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের অনেক ফল পঁচে গেছে আমরা এগুলো বাসায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারিনা যে কারণে কমদামে হলেও আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে আমাদের যা কেনা দাম পড়েছে তার চেয়ে আনেক লস দিয়ে তা বিক্রি করতে হচ্ছে।
মাছের বাজারে গিয়েও দেখা গিয়েছে মাছর দামও কমেছে। এখানে পাঙ্গাস মাছ ১৪০ টাকা, সিলভার কার্প ১৩০ টাকা, পাবদা মাছ ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, তেলাপিয়া ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা দামে, পুঁটি মাছ ১৫০ টাকা ও বিগহেড মাছ ১২০ টাকা কেজি দামে।
জাহিদুল ইসলাম নামের এক ক্রেতার সঙ্গে কথা বললে জানা যায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এই খোলা জায়গায় বাজার বসাতে আমাদের জন্য অনেকটা ভালো হয়েছে। এখানে একটু ভিড় এড়িয়ে বাজার অন্তত করা যাচ্ছে। শাক সবজির কাঁচা বাজারে দাম আনেকটা কম পাওয়া যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে রাজা বাজার আড়ৎদার ও ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাধ বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করণে কাঁচা বাজার ব্যবসায়ীদের বৃষ্টির ক্ষয়ক্ষতির কারণে প্রশাসনের নির্দেশে কাঁচা বাজার নবাব বাড়ি রোডে স্থাপন করা হয়েছে । এখানে বসেছে প্রায় ১৫০টি দোকান প্রথম বাজার বসাতে কিছু দোকান কম বসেছে পরবর্তীতে ছোট বড় মিলিয়ে ২০০ দোকান এখানে বসবে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে, শুক্রবারেও খোলা থাকবে বাজার। দেশে যত দিন করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভালো না হয় যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন বাজার এখানেই আমরা রাখবো। রাজা বাজারে চলবে পাইকারি বিক্রি।
তিনি আরো বলেন রাজা বাজার, ফতেহ আলী বাজার ও রেলওয়ে বাজারের কাঁচা বাজার, মাছ, মাংস, ফুল পট্টিতে বসেছে ফলের দোকান, নবাব বাড়ি আইন কলেজের সামনে থেকে সাতমাথা রোডে কাঁচা বাজার, সার্কিট হাউজ রোডে মাছ- মাংস। বাজারের প্রবেশ পথে অটোমেটিক স্যানিটাইজার ট্যানেল বসানো হয়েছে যাতে করে বাজারে আগতলোকজনের শরীরে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে দেয়া যায়।
বিবার্তা/বাদশা/জাহিদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]