সাতক্ষীরার ফিংড়ি ইউনিয়নের সুলতানপুরে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

বুধবার (১ এপ্রিল) রাতে ওই স্কুল ছাত্রীর ভাই বাদি হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তবে ধর্ষক আব্দুস ছালামকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। ধর্ষক আব্দুস ছালাম (৪৫) সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনয়নের জিফুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত ছদরুদ্দীনের ছেলে।

এদিকে ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী ধর্ষক আব্দুস ছালাম ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়ির উপর দিয়ে প্রায়ই যাতায়াত করতো। এই সুবাদে তার সঙ্গে কথাবার্তা হতো। এক পর্যায়ে গত ২৯ মার্চ সকাল ১০ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রী তাদের বাড়ির পাশে একটি বিলে গবাদী পশুর জন্য ঘাস কাটতে যায়। এসময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আব্দুস ছালাম তাকে খাবার খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে পাশ্ববর্তী একটি আমবাগানে নিয়ে তার হাত ও মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনাটি তাদের পাশে থাকা জনৈক সাগর নামের ১৩ বছরের অপর এক কিশোর দেখে ফেলে। এ ঘটনার দুই দিন পর বুধবার বিকালে কিশোর সাগর ঘটনাটি ওই স্কুল ছাত্রীর ভাইকে জানানোর পর বিষয়টি জানাজানি হয়।

এরপর ওই স্কুল ছাত্রীর ভাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শে রাতেই ধর্ষক আব্দুস ছালামের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে, ধর্ষিতা ওই স্কুল ছাত্রীকে তার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পলাতক ধর্ষক আব্দুস সালামকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বিবার্তা/সেলিম/এসএ