শিরোনাম
বগুড়ায় যমুনার চর রাঙাচ্ছে লাল মরিচ
প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২০, ১৪:৫৯
বগুড়ায় যমুনার চর রাঙাচ্ছে লাল মরিচ
বগুড়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

দূর থেকে দেখলেই যে কারোরই মনে হতে পারে কোনো শিল্পী তার তুলির আঁচড়ে রাঙিয়ে রেখেছে ফসলের মাঠকে। থোকা থোকা লাল রং দিয়ে যেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছে চারিদিক। দুচোখ যেদিকে যাবে মনে হবে ফাঁকা মাঠ জুড়ে কেবল লাল গালিচা বিছিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু কাছে গেলেই বোঝা যাবে সেখানে লাল গালিচা বিছিয়ে রাখা নয়, বগুড়ার বিখ্যাত পাকা মরিচ শুকানো হচ্ছে। এ অপরূপ সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে।


বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনার চর তথা নদীর বিভিন্ন ঘাট এলাকায় এমন দৃশ্য চোখে পড়ে সব সময়। লাল মরিচ খ্যাত বগুড়ার সারিয়াকান্দির উপজেলার বিভিন্ন চর এখন মরিচ উৎপাদনের সবচেয়ে বড় এলাকা। সারিয়াকান্দি ছাড়াও সোনাতলা, গাবতলী ও ধুনট উপজেলায় ব্যাপক মরিচ চাষ করা হয়।


এ মৌসুমে যমুনার পানি কমে যাওয়ার ফলে বিশাল এলাকা জুড়ে জেগে ওঠে চর। আর এই চর জুড়ে এখানকার কৃষকেরা প্রতি বছরই মরিচের চাষ করে থাকে। নদী ভাঙনের শিকার কৃষকরা এই মরিচ চাষ করে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। ফাল্গুন-চৈত্র মাসে মরিচ শুকিয়ে বাজারজাত করে বেশ লাভবান হন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।


সরেজমিনে সারিয়াকান্দি, ধুনট, গাবতলীর বিভিন্ন চর এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, এসব অঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার নারী শ্রমিক ক্ষেত থেকে পাকা মরিচ সংগ্রহ করে মাঠে শুকানোর কাজে নিয়োজিত আছে। ফাঁকা মাঠ ও চরের ফাঁকা জায়গায় পাকা লাল মরিচ শুকানোর জন্য বিছিয়ে রাখা হয়েছে। যা দেখে মনে হবে লাল গালিচা বিছিয়ে রাখা হয়েছে। এসব মরিচ মাঠে শুকানোর পরে তা গোলায় সংরক্ষণ করা হয়।


এসব এলাকার মরিচ চাষি সোলাইমান হোসেন, আকবর আলী, নাজির হোসেন সাথে কথা বলে জানা গেছে, বগুড়ার এই শুকনা লাল মরিচ বিভিন্ন গুঁড়া মসলা প্রস্তুতকারী কোম্পানি কিনে নেয়। বেশির ভাগ সময় কোম্পানিগুলো মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের আগাম টাকা দিয়ে রাখে। সরাসরি কোম্পানির কাছে যারা মরিচ বিক্রি করতে পারে তারা বেশি লাভবান হতে পারে।


তবে ফড়িয়া এবং দালালদের কারণে তাদের লাভ এখন কমে গেছে। এছাড়াও শ্রমিকের মূল্যও বেড়ে গেছে আগের তুলনায় অনেক বেশী। পাইকারি বাজারে প্রতি মণ শুকনো মরিচ ৬ থেকে ৭ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার থেকে ৯ হাজার টাকা মন।


বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক আ ক ম শাহরিয়ার জানান, গত বছর এ জেলায় ১০ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছিল। এ বছর ১০ হাজার ৩৭৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। সঠিক মুল্য পেলে আশা করি কৃষকেরা লাভবান হবে।


বিবার্তা/বাদশা/এসএ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com