দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় পিরোজপুর-১ (নাজিরপুর, পিরোজপুর, নেছারাবাদ) আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা ইরাদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুল মান্নান এ আদেশ দেন।

দুদকের আইনজীবী মনসুর উদ্দিন হাওলাদার বলেন, আউয়ালের বিরুদ্ধে জেলার নাজিরপুর থানার সামনে ও উপজেলা সদরের ভূমি অফিসের পেছনের সরকারি জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগে গত ৩০ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক পরিচালক মো. আলী আকবর আউয়ালের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন। এর একটিতে তার স্ত্রী লায়লা ইরাদকেও আসামি করা হয়। এসব মামলায় তারা গত ৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন পান।

এদিকে দুর্নীতির মামলায় স্ত্রীসহ সাবেক এমপি আউয়ালকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় আদালত পাড়াসহ পুরো শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তেজিত নেতাকর্মীদের ওপর শহরের বিভিন্ন জায়গায় লাঠি চার্জ করেছে পুলিশ। শহরের সকল দোকান ও ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। নেতাকর্মীরা সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে অগ্নিসংযোগ করায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এছাড়া জেলা জজের অপসারণ দাবি করে অনির্দিষ্টকালের জন্য আদালত বর্জন করেছে পিরোজপুরের আইনজীবীরা। এ নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।

প্রসঙ্গত, ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী পিরোজপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর পৃথকভাবে তিনটি মামলা করে দুদক। মামলাগুলোর মধ্যে একটিতে সাবেক এমপি আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি দুটিতে এককভাবে আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে। তিনটি মামলারই বাদী দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর।

বিবার্তা/এনকে