শিরোনাম
পাঁচবিবিতে সার সংকটে অতিরিক্ত দাম নেওয়ার অভিযোগ
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:৫০
পাঁচবিবিতে সার সংকটে অতিরিক্ত দাম নেওয়ার অভিযোগ
পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বোরো মৌসুমের শুরুতে ডিএপি সংকট দেখা দেয়ায় পর্যাপ্ত সার পাচ্ছেন না কৃষক। এদিকে বস্তা প্রতি ১০০ থেকে ২৫০টাকা বেশি দিলেই মিলছে সার। ফলে সরকার ডিএপি সারের দাম কমালেও এর সুফল পাচ্ছেন না কৃষক।


মৌসুমের শুরুতেই ডিএপি সার না পাওয়ায় বাধ্য হয়েই অনেকেই টিএসপি ব্যবহার করছেন।এতে চলতি ইরি-বোরো আবাদের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষক।দাম বেশি নেয়ার কথা অস্বীকার করে সার ডিলাররা বলেন, সরবরাহ না থাকায় কৃষক সার পাচ্ছেন না। তবে খুচরা ডিলারদের দাবি টিএসপি সার না কিনলে ডিএপি সার দিচ্ছেন না সার ডিলাররা।


জানা যায়, সরকার বোরো মৌসুমের শুরুতেই ডিএপি সারের দাম ডিলার পর্যায়ে কেজিতে ১৪ টাকা ও কৃষক পর্যায়ে ১৬ টাকা করায় কৃষকরা খুশি হয়েছিলেন।কিন্তু মৌসুমের শুরুতে ডিএপি সার না পাওয়ায় বেশি দামে টিএসপি সার কেনায় আর্থিক ক্ষতির স্বীকার হচ্ছেন কৃষক।


উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ডিএপি সারে নাইট্রোজেনের পরিমাণ ১৮ ভাগ থাকায় কৃষক ডিএপি সার ব্যবহার করেন। আর এ জন্য ফলনও ভালো হয়।’


কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। চলতি মাসের বরাদ্দকৃত ৩৯৫ মেট্রিক টন ডিএপি সার ডিলাররা উত্তোলন করেছেন। উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নে ১২ জন ডিলারের মাধ্যমে ৮১ জন সাব ডিলার সার বিক্রয় করে থাকেন। তবে অনেক ডিলার জানান, তাদের কাছে ডিএপি সার নেই। সে কারণে কৃষকও পাচ্ছেন না। উপজেলার ডুগুরপাড়া এলাকার খুচরা সার ডিলার ফেরদৌস হোসেন বলেন, ‘ডিলাররা সার না দিলে আমরা বিক্রি করব কিভাবে।’


তবে খুচরা সার ডিলার বিরাজ হোসেন বলেন, ‘ডিলারদের কাছে ডিএপি সার থাকলেও তারা দিচ্ছেন না। ডিএপি সার নিতে হলে বেশি করে টিএসপি সার নিতে হবে।আর টিএসপি সারের দাম বেশি হওয়ায় কৃষক বেশি পরিমাণে কিনতেও পারছেন না।’ বীরনগর গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেনসহ একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ড্যাপ (ডিএপি) সার না পাওয়ায় ২৪ টাকা কেজি দরে ফসফেট (টিএসপি) সার কিনে জমিতে দিয়েছি।


দাম বেশি নিলেও সাংবাদিকের নিকট অস্বীকার করেন সাব ডিলাররা।


এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘চাহিদা বেশি থাকায় এ সমস্যা হচ্ছে। ডিএপি সার না থাকলেও কৃষকের সমস্যা হবে না। কৃষক টিএসপি ও ইউরিয়া সার ব্যবহার করতে পারবে।’


তিনি আরো বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যেই ডিএপি সার পাওয়া যাবে।’


বিবার্তা/মেজবা উদ্দিন/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com