শিরোনাম
করোনাভাইরাস আতঙ্ক; দেশে ফিরে বিপাকে প্রবাসী
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২১:১১
করোনাভাইরাস আতঙ্ক; দেশে ফিরে বিপাকে প্রবাসী
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাস শনাক্ত ও চিকিৎসায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় সিঙ্গাপুর ফেরত এক প্রবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।


দেশে আসা প্রবাসী মো. আব্বাস আলী বাসাইল উপজেলার দেউলী এলাকার মৃত সামছুল হকের ছেলে। আব্বাস আলী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী কেউই তার সাথে চলাচল করছেন না। দেশে ফিরে বিপাকে পড়েছেন প্রবাসী আব্বাস।


আব্বাস আলী জানান, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনে থার্মল মেশিন দিয়ে যথাযথ পরীক্ষা নিরিক্ষা করে নিজ বাড়িতে আসেন। পরদিন ঘুম থেকে দেরি করে উঠে বাড়ির পাশের বাজারে যান। এসময় স্থানীয়রা তাকে সন্দেহ করে তার করোনাভাইরাস আছে যে কারনে সিঙ্গাপুর থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।


প্রবাসী আব্বাস নিজেকে সুস্থ বললেও স্থানীয়দের বুঝাতে ব্যর্থ হন। পরে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হলে পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করে। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল থেকেও তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।


আব্বাস আলীর মা বলেন, আমার ছেলে সুস্থ। আমার ছেলে শরীরে কোনো ভাইরাস নেই। সে অসুস্থ নয়। মানুষ আমার ছেলেকে হয়রানি করছে।


এ বিষয়ে আব্বাসের শ্যালক বলেন, করোনাভাইরাস সন্দেহে এলাকার মানুষ তার সাথে কোনো ধরণের কথাই বলছেন না। দুলাভাই ছুটিতে এসেও পরিবারকে সময় দিতে পারছেন না। পাশাপাশি এলাকার মানুষের কাছেও তিনি যেতে পারছেন না।


প্রবাসী আব্বাস আলী বলেন, আমি দেশে এসে হেনস্থার শিকার হচ্ছি। আমার শরীরে কোনো প্রকার ভাইরাস নেই। ভাইরাসের কোনো লক্ষণও নেই। তারপরও জোরপূর্বক আমাকে ধরে এনে হাসপাতালে বসিয়ে রেখেছে। হাসপাতাল থেকে প্রথমে বলেছে দুইদিন আমাকে এখানে রাখবে। তারপর বলছে আমাকে ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। আমার শরীরে কোনো সমস্যা নেই। তারপরও আমাকে নিয়ে কেন এতো টানাটানি করছে। এখন আমি ঢাকায় যাচ্ছি।


বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যান অফিসার এসএম জামাল বলেন, খান বাহাদুর নামের এক চেয়ারম্যান তথ্যটি আমাদেরকে জানান। আমরা জানতে পেরেছি কয়েকদিন আগে তিনি বিদেশ থেকে এসেছেন। আসার পর স্বাভাবিকভাবে কারো সাথে মিশছেন না। আমরা সন্দেহ করে তাকে চিকিৎসার জন্য পাঠাই। তবে করোনাভাইরাসের কোন লক্ষণ তার শরীরে দেখা যায়নি।


এদিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শফিকুল ইসলাম সজিব বলেন, প্রবাসী আব্বাসকে দেখে তেমন কিছু বুঝা যাচ্ছে না। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে একটি আইসোলেশন বিভাগ খোলা হলেও এখানে চিকিৎসকদের সেবা প্রদানের সুযোগ সুবিধা নেই। যে কারনে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।


বিবার্তা/তোফাজ্জল/এসএ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com