শিরোনাম
বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:৪৭
বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ
আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইনামুল হাসান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি এবং ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বুধবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ- সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও অংশ নেন স্থানীয় জনতা।



বিক্ষোভকারীরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইনামুল হাসানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।সেই সঙ্গে, তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের দাবি তোলা হয়।


বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরাস্তায় এসে এক প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।


উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম সুজা, দফতর সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ আলী বাশার, গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান ইকু, গোপালপুর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি হাসমত হোসেন কাজল, জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মোনায়েম হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি তন্ময় উদ্দৌলা, জেলা কৃষক লীগের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য তৌকির আহমেদ ডালিম, পৌর কৃষক লীগের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রাজিব ও গোপালপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম মোল্লা।


উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন বলেন, যে শেখ মুজিবুরের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হতো না। আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদা অর্জন করতে পারতাম না। পাকিস্তানিদের নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতাম না সেই বঙ্গবন্ধুকে ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি ও ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছে।আমরা আলফাডাঙ্গাবাসী এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তির কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।বঙ্গবন্ধুকে যারা অস্বীকার করে তারা স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে।এরা স্বাধীনতার শত্রু। দেশ স্বাধীন হলেও তাদের মনে এখনো পাকিস্তান প্রীতি। এমন কাজের নিন্দা জানানোর ভাষা নেই।



গোপালপুর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি হাসমত হোসেন কাজল বলেন, ইনামুল হাসান এর আগেও বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন। প্রকাশ্যেই তিনি সরকারের বিষদগার করেন। ইনামুলদের গোটা পরিবার বিএনপিপন্থী ও স্বাধীনতার সময় তার বাবা গোলাম কুদ্দুসের বিতর্কিত ভূমিকা ছিল বলেই বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করতে পেরেছেন্।


প্রসঙ্গত, গত ৮ জানুয়ারি পাড়াগ্রাম মোড়ে গেলে স্থানীয় কিছু লোক তার কাছে আসেন।এ সময় তারা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সরকারি ঘর বরাদ্দে দুর্নীতি, বয়স্ক, বিধবাভাতায় অনিয়মের অভিযোগ তোলেন।


তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেখানে ন্যায় প্রতিষ্ঠার কথা বলছেন, সেখানে আমরা ন্যায্য পাওনা পাচ্ছি না।


জবাবে ইনামুল হাসান বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন, তখন ন্যায় কোথায় ছিল? বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কোথায় ছিল? শেখ মুজিবুর রহমান তো পাকিস্তান ভাঙছে, দুই পাকিস্তান এক থাকলে দেশ আরো সুন্দর হইত।তারে (বঙ্গবন্ধু) নিয়ে লাফালাফির কী আছে? তার (আসামির) বাপ রাজাকার হয়েছে তাতে কী হয়েছে, তোদের শেখ হাসিনা কি তাই বইলা আমার চেয়ারম্যান হওয়া ঠেকাইতে পারছে?’।


পরে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে তিনি দ্রুত সেখান থেকে চলে যান।যা একটি দৈনিক এবং দুইটি অনলাইন নিউজপোর্টালে প্রকাশিত হয়।


এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ইনামুল হাসানের বিরুদ্ধে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মানহানীর মামলা হয়েছে।আদালত আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি আসামি ইনামুল হাসানকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।


বিবার্তা/জাহিদ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com