শিরোনাম
অল্প খরচে অধিক লাভ, কিশোরগঞ্জে বাড়ছে সরিষা আবাদ
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ১১:৫৪
অল্প খরচে অধিক লাভ, কিশোরগঞ্জে বাড়ছে সরিষা আবাদ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দিন দিন বাড়ছে সরিষার আবাদ। বর্তমানে এখানকার ফসলি জমিসহ দিগন্তজোড়া মাঠ-প্রান্তর সরিষা ফুলের হলুদ বর্ণিলতায় যেন ঢাকা পড়েছে।


উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, স্বল্প খরচ ও পরিশ্রমে অধিক ফলন ও ফসল বিক্রি করে ভালো দাম পাওয়ায় সরিষা চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছে ভৈরবের কৃষকেরা। ফলে এখানে প্রতিবছরই আশাব্যঞ্জক বাড়ছে সরিষার আবাদ।


বীজ বোনার সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে সরিষার ফলন ঘরে তোলা যায় বলে বোরো আবাদের কোনো সমস্যা হয় না কৃষকদের। সামন্য পরিমাণ ইউরিয়া ছাড়া আর কোনো সারেরও প্রয়োজন পড়ে না সরিষার আবাদে। চারা গজানোর পর পর আগাছা পরিষ্কার ছাড়া তেমন কোনো শ্রমেরও দরকার হয় না। তাই প্রতি বিঘা সরিষা আবাদে সর্বোচ্চ খরচ হয় তিন থেকে চার হাজার টাকা।


সরিষা চাষি শিশু মিয়া, রহমত উল্লাহ ও আক্তার হোসেন জানান, প্রতি বিঘা জমিতে সরিষার ফলন হয় ৬ থেকে ৭ মণ। বিক্রি করা যায় কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। ফলে প্রতি বিঘা সরিষা আবাদে মোট লাভ দাঁড়ায় ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা।


অন্যদিকে এই সরিষা আবাদকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মধুচাষীরা তাদের মৌখামার গড়ে তোলেন। খামারের প্রতিটি মৌবাক্সে সপ্তাহে ৩ থেকে ৫ কেজি মধু আহরণ করা যায় বলে জানান খামারিরা। সেই মধু বিক্রি করে তারা বেশ লাভবান বলেও জানান তারা। তবে তারা উৎপাদিত মধু বিক্রি আর বেকার যুবকদের এই মধু চাষে আগ্রহী করে তুলতে ঋণের দাবি জানান।


উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা চন্দন কুমার শাহু জানান, বোরো ফসলের আগে অল্প সময়ে, অল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে ভৈরবের কৃষকরা। এ ছাড়া সরিষার পাতা জমিতে পড়ে পচে জৈবসার তৈরি করে। ফলে পরবর্তী বোরো আবাদে ইউরিয়া সারের পরিমাণ কম লাগায় কৃষকেরা সরিষা আবাদের দিকে ঝুঁকছে।


চলতি বছর দুই হাজার একশ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে জানিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম শরীফ খান জানান, এ বছর ৫০০ কৃষককে সরকারি প্রণোদনার আওতায় বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে।


সরিষাকে তিনি আমন এবং বোরো ফসলের মাঝখানে বাড়তি ফসল হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, সরিষার ফলন খুব অল্প সময়ে ঘরে তোলা যায়। এতে খরচ যেমন কম হয়, তেমনি পরিশ্রমও কম হয়। অপরদিকে মুনাফা হয় খুব বেশি। তাই এখানকার কৃষকদের এই ফসলের প্রতি আগ্রহ বেশ।


বিবার্তা/এনকে

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com