শিরোনাম
আলফাডাঙ্গায় স্কুল কমিটির নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যানের বিতর্কিত কাণ্ড
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২০, ২০:৪৪
আলফাডাঙ্গায় স্কুল কমিটির নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যানের বিতর্কিত কাণ্ড
আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অযাচিত হস্তক্ষেপ করছেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইনামুল হাসান। নজিরবিহীনভাবে অভিভাবক ভোটারদের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে নিজ পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাইছেন। সামাজিকভাবে অস্বচ্ছলদের দেখাচ্ছেন প্রলোভন, দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি। আবার ভয়ভীতি দেখিয়েও ভোট চাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা ও ভোটারদের।


স্থানীয়রা বলছেন, কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমী প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত আট দশকে এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। বরাবরই অভিভাবকরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের অভিভাবক সদস্য নির্বাচন করেন। পরে সদস্যদের ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হয়। এটি উৎসবের একটি উপলক্ষ। এবার এটি আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি ভোট হবে।


এ ব্যাপারে ফরিদপুর স্থানীয় সরকার বিভাগেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। সে অনুযায়ী চেয়ারম্যানকে সতর্কও করেছে জেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় সরকার বিভাগ।


কাঞ্চন একাডেমীতে সন্তান পড়ছেন এমন একজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, গরিব ও অস্বচ্ছল অভিভাবক ভোটারদের চেয়ারম্যান নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি ও প্রলোভন দেখাচ্ছেন। তার পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিলে বয়স্কভাতা কার্ড, শিশুকার্ডসহ নানা সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। আবার ইনামুল হাসান ও খান বেলায়েত রাতে নিরীহ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতিও দেখাচ্ছে। তাদের পছন্দের বাইরে অন্য কাউকে ভোট দিলে মারধরের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে।


এ ব্যাপারে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘স্কুল কমিটির নির্বাচনে ইউপি অফিস ব্যবহারের কোনো নিয়ম নেই। সরকারি দফতর ব্যবহার করার অভিযোগ প্রেক্ষিতে আমরা তাকে সতর্ক করেছি। প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’


জানতে চাইলে ফরিদপুর জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচনে প্রভাববিস্তার করার অভিযোগটি আমাদের কাছে এসেছে। আমরা অভিযোগ পাওয়া মাত্রই চেয়ারম্যানকে সতর্ক করেছি এবং নির্দেশনা দিয়েছি। এর পরও যদি এ ধরনের কাজ হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’


বিষয়টি শুনেছেন জানিয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুর রহমান বলেন, ‘আমরা নজর রাখছি। ফের এ ধরনের কিছু হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’


এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইনামুল হাসান বলেন, ‘এটা আমাদের এলাকার বিষয়। এসব নিয়ে আপনার এত দরকার কী?’ বলেই তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন।’


বিবার্তা/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com