শিরোনাম
ফেলানী হত্যার বিচারের আশায় এখনো পরিবার
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২০, ২০:০৫
ফেলানী হত্যার বিচারের আশায় এখনো পরিবার
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

কুড়িগ্রাম সীমান্তে আলোচিত কিশোরী ফেলানী হত্যার ৯ বছর পূর্ণ হলো মঙ্গলবার।


কিন্তু দেশ-বিদেশে আলোচিত এ হত্যা কাণ্ডের বিচার ভারতের উচ্চ আদালতে গড়ালেও এখনো ন্যায় বিচার পায়নি তার পরিবার। তাই আজও ন্যায় বিচারের আশায় আছেন তারা।


এদিকে ফেলানী হত্যার পর থেকে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো নাগেশ্বরী উপজেলার নাখারগঞ্জের নিজ বাড়িতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে তার বাবা নুরুল ইসলাম ও মা জাহানারা বেগম।


ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম জানান, আমার মেয়েকে বিএসএফ পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার দিয়েছিলাম বাংলাদেশ সরকার, ভারত সরকারের নিকট। কিন্তু এখনো ন্যায় বিচার পাইনি। আমি আমার মেয়ে হত্যার ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় বসে আছি।


এর আগে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাটাতারের বেড়ায় নির্মমভাবে খুন হয় কিশোরী ফেলানী। ভারতের ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নিহত ফেলানীর মরদেহ কাটাতারেই ঝুলে থাকে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা। ফেলানীর ঝুলে থাকা লাশের ছবি দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোতে সমালোচনার ঝড় তোলে। সেসময় বিজিবির দাবির মুখে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারের বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার কাজ শুরু হয়।


ফেলানীর বাবা দুদফা বিএসএফের আদালতে সাক্ষী দিয়ে আসলেও ঐ বছর ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে রায় পুনর্বিবেচনায় বেকসুর খালাস দেয় আদালত।


বিএসএফের বিশেষ আদালতে কন্যা হত্যার ন্যায় বিচার না পেয়ে ২০১৫ সালে ভারতের আইনজীবী অপর্নাভাট ও মানবাধিকার সংগঠন মাসুমের সহায়তায় ভারতের উচ্চ আদালতে রিট করেন নুরুল ইসলাম। এখন ন্যায় বিচারের আশায় আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন।


বিবার্তা/সৌরভ /শহিদুল/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com