শিরোনাম
মেধাবী শম্পার দায়িত্ব নিলেন আব্দুল কুদ্দুস এমপি
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:২২
মেধাবী শম্পার দায়িত্ব নিলেন আব্দুল কুদ্দুস এমপি
নাটোর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

তিন তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া গ্রামের দরিদ্র জেলে পরিবারের সেই মেধাবী শম্পার দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি। সবকিছু ঠিক থাকলে বৃহঃস্পতিবার ভর্তির জন্য মৌখিক পরীক্ষা দিতে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্দেশ্যে রওনা হবেন শম্পা ও তার বাবা।


শম্পা নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মেরীগাছা গ্রামের দরিদ্র জেলে (মৎসজীবি) মো. কামাল হোসেনের মেয়ে।


সংসদ সদস্যর মেয়ে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও কল্লোল ফাউন্ডেশনেরর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি জানান, জাতীয় দৈনিকসহ বেস কয়েকটি মিডিয়ায় সংবাদটি প্রকাশ হলে বিষয়টি আব্বার নজরে আসে।


আমার বাবার দেয়া ১০ হাজার এবং আমার প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কল্লোল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা মিলিয়ে মোট ১৫ হাজার টাকা ইতিমধ্যে শম্পাকে দেয়া হয়েছে। এ টাকা দিয়ে মেয়েটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে। ভর্তির পর প্রতি মাসে তাকে সাধ্যমতো আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে বলে তিনি জানান।


প্রসঙ্গত উপজেলার মেরীগাছা গ্রামের দরিদ্র জেলে মো. কামাল হোসেনের মেয়ে শম্পা এবার গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাতালিকায় ভর্তির সুযোগ পায়।


কিন্তু দরিদ্র বাবা তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির খরচ জোগাতে পারছিলেন না। এ ব্যাপারে দৈনিক যুগান্তরে গত ২৯ নভেম্বর ‘অর্থাভাবে শম্পার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত’ শিরোনামে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হয়।


জানা গেছে, শম্পা এ বছর ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাতালিকায় ২৬তম, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩৬তম এবং রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৬৯তম স্থান অধিকার করেছে।


শম্পা এর আগে মেরীগাছা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৪.৫ পেয়ে এসএসসি এবং বনপাড়া শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ ৩.৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করে।


শম্পারা দুই বোন এক ভাই। শম্পা বড়, মেজো বোন পূর্ণিমা এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে, ছোট ভাইয়ের বয়স ৩ বছর।


শম্পার বাবা মৎসজীবি তাই আয়ের একমাত্র উৎস মাছ শিকার। শিকার করা মাছ বাজারে বিক্রি করেই মূলত জীবিকা নির্বাহ করে পরিবারটি।


বিবার্তা/সাকলাইন শুভ/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com