ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী ‘তুর্ণা নিশীথা’র সঙ্গে সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে যাত্রা করা ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ৩টার দিকে উপজেলার মন্দবাগ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ১৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সদস্যরা নিহতদের হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে তাদের পরিচয় শনাক্ত করছেন।
এখন পর্যন্ত পরিচয় পাওয়া নিহতরা হলেন- হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মদনমোরাদ এলাকার আইয়ূব হোসেনের ছেলে আল-আমিন (৩৫), আনোয়ারপুর এলাকার মো. হাসানের ছেলে আলী মো. ইউসূফ (৩৫), চুনারুঘাট উপজেলার পীরেরগাঁও এলাকার সুজন (২৪), চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজাগাঁও এলাকার মজিবুর রহমান (৫০) ও তার স্ত্রী কুলসুমা (৪২)।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম-সিলেটের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন জানান, মৃতদের মধ্যে নয়জন ঘটনাস্থলে, সদর হাসপাতালে তিনজন, কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজন এবং কুমিল্লা সদর হাসপাতালে একজন মারা যান।
জানা যায়, উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি তুর্ণা নিশীথাকে সাইড দিচ্ছিলো। তখন উদয়ন ট্রেনের অর্ধেক বগি অন্য লাইনে ঢোকার পর বাকি বগিগুলোতে তুর্ণা নিশীথা ধাক্কা দেয়। এতে দুটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি শ্যামল কান্তি দাস জানান, দুইটি ট্রেনের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বগির নিচে আরো মরদেহ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হতাহতদের উদ্ধারে স্থানীয়রাসহ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার শফিক তুহিন জানান, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেন দুইটি উদ্ধার করতে কুমিল্লার লাকসাম ও আখাউড়ার রেলওয়ে জংশন থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে এসেছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
বিবার্তা/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]