শিরোনাম
জামাই-শাশুড়ির বিয়ে, চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০১৯, ১৬:৩৮
জামাই-শাশুড়ির বিয়ে, চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে জামাই-শ্বাশুরির সাথে জোর পূর্বক বিয়ে দেয়ার ঘটনায় হাদিরা ইউপি চেয়ারম্যান কাদের তালুকদারসহ ১১ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে গোপালপুর আমলি আদালতের বিচারক শামছুল হক মামলাটি আমলে নিয়ে গোপালপুর থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।


রবিবার (২৭ অক্টোবর) গোপালপুর আমলি আদালতে শাশুরি মাজেদা বেগম বাদী হয়ে হাদিরা ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও কাজীসহ ১১ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।


মামলা বিররণে জানা গেছে, গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের কড়িআটা গ্রামের নুরুল ইসলামের স্ত্রী ও শাশুরি মাজেদা বেগম এবং তার মেয়ের জামাতাকে মারধর করে জোর পূর্বক স্বামীর সাথে খোলা তালাক দিয়ে মেয়ের জামাতার সাথে কাজী ডেকে বিয়ে দেয়া হয়। এতে হাদিরা ইউপি চেয়ারম্যান কাদের তালুদকার ও ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম সেই সালিশি বৈঠকের বিচার করে শাশুরির সাথে জামাতার বিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন।


বাদীর আইনজীবি হাবিবুর রহমান জানান, রবিবার আদালতে বাদী মাজেদা বেগম হাজির হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলায় দায়ের পর আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে গোপালপুর থানাকে তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।


টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার কড়িয়াটা গ্রাম। এ গ্রামের নিতান্তই দরিদ্র নরু মিয়ার মেয়ে নূরন্নাহারের সাথে চলতি বছরের আগষ্টের ৯ তারিখে এক লাখ টাকার দেনমোহরে বিয়ে দেয়া হয় আরেক হতদরিদ্র পার্শ্ববর্তি ধনবাড়ি উপজেলার হাজরাবাড়ীর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে মোনছের আলীর সাথে। বিয়ের কিছুদিন সংসার জীবন ভাল কাটলেও কয়েকদিন পরই দেখা দেয় দাম্পত্যকলহ। বিয়ের দেড় মাসের মাথায় চলতি মাসের শুরুর দিকে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান শাশুড়ি। চলতি মাসের ৮ অক্টোবর সকালে স্ত্রী, শাশুড়িকে সাথে নিয়ে শশুর বাড়ি কড়িয়াটাতে আসে মোনছের।


এ সময় স্ত্রী নূরন্নাহার তার অভিভাবকদের স্বামীর সংসার আর করবেনা বলে জানায়। আর তা নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ গ্রামবাসী সালিশি বৈঠক করেন। পরে বৈঠকে স্বামীর সাথে সংসার করতে অস্বীকার করলে রাগ এবং ক্ষোভে মা বলে উঠেন তুই না করলে আমি করবো। আর এতেই মেয়ের জামাইয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে শাশুড়ি ও মেয়ের জামাইকে বেদম প্রহার করার আদেশ দেন বৈধকে উপস্থিত চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় মাতব্বররা। এরপর শশুরকে দিয়ে শাশুড়ি এবং তাকে দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দিতে বাধ্য করে তারা। পরে একই বৈঠকে কাজী শাশুড়ির সাথে মেয়ের জামাইয়ের বিবাহ রেজিস্ট্রি করানো হয়।


বিবার্তা/তোফাজ্জল/তাওহীদ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com