ঢাকার ধামরাইয়ে স্ত্রীর সহযোগিতায় স্বামীর হাতে ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন এক কিশোরী। এঘটনায় বিচারের নামে টাকা ভাগভাটোয়ারার অভিযোগে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ধর্ষক মোকছেদ আলীর স্ত্রী উজালা বেগমকে গ্রেফতার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় ধর্ষক মোকছেদ আলী, তার স্ত্রী উজলা বেগম এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুকসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলো- ঢাকার ধামরাই উপজেলার আমতা ইউনিয়নের মৃত সাধু বেপারীর ছেলে মোঃ মোকসেদ আলী, স্ত্রী উজালা বেগম, আমতা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন, আল আমিন, দরবার আলী, চান মিয়া ও সাংবাদিক পরিচয়দানকারী জসিম।

পুলিশ জানায়, গত ৩০ জুলাই ধামরাইয়ের আমতা ইউনিয়নের মুন্সীপাড়া গ্রামে কৌশলে প্রতিবেশী কিশোরীকে ডেকে নিয়ে যায় উজালা বেগম। পরে তার সহায়তায় কিশোরীকে ধর্ষণ করে স্বামী মোকছেদ আলী। এ ঘটনায় কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গত ২১ অক্টোবর বিষয়টি তার পরিবারের কাছে খুলে বলে ভুক্তভোগী।

ঘটনা প্রকাশ পেলে বিষয়টি ধাপা চাপা দিতে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন বিচারের নামে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করে এবং টাকা নিয়ে বিষয়টি ভুলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয় ভুক্তভোগী পরিবারকে।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, বিকৃত মানসিকতা থেকে এমন ঘৃনিত কাজে লিপ্ত হয়েছে এই দম্পতি। ভুক্তভোগী পরিবার আজ থানায় মামলা দায়ের করেছে। অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত উজালা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত বাবি আসামিদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।

এদিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী কিশোরীকে শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।

বিবার্তা/জাই