ছোটকাল থেকে লালনপালন করা নানী ফুলমালা বেগমকে (৬০) হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করেছে নাতি পলাশ (২০)। ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের কুড়েরপাড়া গ্রামে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে দেরি করে বাড়ি ফেরায় বকাঝকা করেন ফুলমালা বেগম। এসময় পলাশ ক্ষুদ্ধ হয়ে হাতুড়ি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় শুক্রবার (১৮ অক্টেবর) সকালে মাধবদী থানায় নিহত ফুলমালা বেগমের ছেলে শামীম আহমেদ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ জানায়, মাধবদীর কুড়েরপাড় গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর মেয়েকে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ইসলামের নিকট বিয়ে দেন। বিয়ের পর মেয়ের জামাইয়ের মৃত্যুতে ফুলমালা নাতি পলাশকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন এবং স্কুলে ভর্তি করান। পলাশ এখন একটি কলেজে লেখাপড়া করছে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নাতি পলাশ বাড়িতে এসে ফুলমালার নিকট খাবার (ভাত) চায়। ফুলমালা পলাশ রাতে দেরি করে বাড়িতে আসায় তাকে বকাঝকা করে।

এ নিয়ে নানীর সঙ্গে পলাশের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে নাতি পলাশ হাতের কাছে থাকা হাতুড়ি দিয়ে নানীকে মাথায় এলোপাথাড়ি আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই নানীর মৃত্যু হয়।

নানীর মৃত্যু নিশ্চিত জেনে পলাশ লাশের পাশে বসে নরসিংদী পুলিশ সুপারের নম্বরে কল করে নানীকে হত্যা করার ঘটনা প্রকাশ করে।

মাধবদী থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান জানিয়েছেন, পলাশকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহত ফুলমালা বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বিবার্তা/আবদাল