ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের দায়ে ২৫ জেলেকে দণ্ড দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সদরে তিন জন, তজুমোদ্দিনে নয় জন, চরফ্যাসনে পাঁচ জন ও মনপুরায় আট জন জেলে রয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে মেঘনা ও তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় একটি ফিসিং ট্রলার, ১ হাজার কেজি মা ইলিশ ও ২০ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া আজ সকালে সদর উপজেলা থেকে ৩ জেলেকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম জানান, মেঘনার মনপুরা উপজেলার দণ্ডপ্রাপ্ত ৮ জেলের মধ্যে ৭ জনকে ১ বছর করে কারাদণ্ড ও ১ জনকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমেদ। চরফ্যাসনে ৫ জেলেকে ১ বছর করে জেল দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলম।
আজহারুল ইসলাম জানান, তজুমোদ্দিনে আট জনকে ১ বছর করে কারাদণ্ড ও ১ জনকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলম। এছাড়া সদরে ১০ জেলে আটক করা হলেও ৭ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক থাকায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয় এবং তিন জনকে ১ বছর করে দণ্ড দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কামাল হোসেন।
তিনি আরো বলেন, আজ ভোর রাতের দিকে সদরের মেঘনা নদী থেকে ৩ জেলেকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তোলা হবে। এছাড়া জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ও মাছ দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের অভিযান চলমান আছে। আইনভঙ্গকারী কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ২২দিন মা ইলিশকে নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়ার জন্য ইলিশ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে সরকার। মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন-১৯৫০ অনুযায়ী এ সময়ে ইলিশ শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও দন্ডনীয় অপরাধ।
বিবার্তা/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]