নাটোরের গুরুদাসপুরে আয়োজন করা হয় দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর বিয়ে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বাল্য বিবাহের খবর পেয়ে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে হাজির হন গুরুদাসপুর সহকারী কমিশনার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান।
প্রশাসনের গাড়ি দেখে মুহূর্তের মধ্যেই বদলে গেলো কনে। কনের জায়গায় কনের ভাবিকে বসিয়ে শুরু হয় নাটকীয় অভিনয়।
ওই কনের ভাবীকে কনে বলে পরিচয় দিলে তাকে এবং কনের ভাইকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয় উপজেলায়।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, কনে বিউটিকে পালিয়ে দিয়ে তার ভাবি শ্রাবনী কনে সেজে কনের জায়গায় বসেছিলেন।
জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৬ বছরের এক ছাত্রীর বিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জানিয়ে ফোন করা হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তমাল হোসেনের কাছে। পরে তার খবরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান ওই বাল্যবিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে কনেকে না পেয়ে কনে সেজে বসে থাকা কনের ভাবি ও তার ভাইকে আটক করে নিয়ে আসে।
পরে তাদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]