বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের দাদা আব্দুল গফুর বিশ্বাস (৮৭) নাতিকে হারিয়ে প্রায় পাগল হয়ে গেছেন। নাতির জন্য আহাজারি করছেন তিনি।
তিনি আর্তনাদ করে বলেন, আহারে! ওরা আমার নাতিকে পিটিয়ে পিটিয়ে মেরেছে, খুব কষ্ট দিয়ে মেরেছে। আমার নাতির কি অপরাধ? ও আল্লাহ, আল্লাহরে তুমি এর বিচার করবা, তোমার কাছে বিচার দিলাম।
এদিকে আবরার ফাহাদের নিজ জেলা কুষ্টিয়া এখন আতঙ্কের নগরী। বিশেষ করে আবরারের পরিবার, রায়ডাঙ্গাবাসী ও তার নিজ স্কুল কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা ভীতিকর অবস্থার মাঝে দিনযাপন করছে।
কোনো কর্মসূচির ঘোষণা দিলেই রাতারাতি হুমকি দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে রয়েছে আবরারের গ্রাম রায়ডাঙ্গার সাধারণ মানুষ। কোনোরকম বাড়াবাড়ি করলেই জামায়াত-শিবির বলে ধরিয়ে দেয়া হবে হুমকি দেয়া হয়েছে তাদের। এমন অভিযোগ করেন একাধিক গ্রামবাসী।
বুধবার যে রায়ডাঙ্গা আবরারের খুনিদের বিচারের দাবিতে উত্তাল ছিল; রাস্তায় নেমেছিল হাজার হাজার নারী-পুরুষ। সেই রায়ডাঙ্গায় এখন কেউ মুখ খুলছে না। সবদিকে সুনসান নীরবতা। সাংবাদিক দেখলেই সবাই নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা সুজন জানান, আমাদের সব সময় হুমকি দেয়া হচ্ছে। কোনো কর্মসূচি পালন করা যাবে না।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]