খুলনায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে ভৈরব নদের ফুলতলায় বিসর্জন শুরু হয়। সন্ধ্যার পর ভৈরব নদের জেলখানা ঘাট, চরেরহাট, দৌলতপুর ও রেলীগেট ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়।
দামোদর সনাতন সংঘ, বকশী বাড়ি পূজা মন্দির, সাহাপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দির, পশ্চিমপাড়া ভৈরব পূজা মন্দির, কিশোর ভ্রাতৃ সংঘ, ফুলতলা বাজার জামিরা রোড পূজা মন্দির, বসুরাবাদ কানইডাঙ্গা মাতৃ মন্দির, পয়গ্রাম পালপাড়া পূজা মন্দিরসহ ফুলতলা, দামোদর ও জামিরা ইউনিয়নের সব মন্দিরের প্রতিমা ফুলতলা ঘাটে বিসর্জন করা হয়।
অনুরূপভাবে জেলখানা ঘাট, চরেরহাট, দৌলতপুর ও রেলীগেটে মহানগরীর বিভিন্ন মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন করা হয়।
বিসর্জনের আগে নারীরা দেবী দুর্গার সিঁথিতে সিঁদুর পরান এবং মিষ্টি মুখ করান। পরে মন্দিরে আগত নারীরা একে অপরের সিঁথিতে সিঁদুর বিনিময় করেন। এরপর বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ থেকে ট্রাকে করে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা শুরু হয়। এ শোভাযাত্রা গুলোয় যোগ দেন মন্দিরগুলোর পুণ্যার্থীরা। শোভাযাত্রাগুলো ভৈরব নদের ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হয়।
এদিকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জনের ঘাটসমূহে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিসর্জনের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি পূজা কমিটির নিজস্ব ভলান্টিয়াররাও দায়িত্ব পালন করেছেন।
জেলা ও মহানগরীতে এবার ৯৯৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ খুলনা জেলা শাখার সভাপতি কৃষ্ণপদ দাস ও পূজা উদযাপন পরিষদের খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি শ্যামল হালদার।
বিবার্তা/রেজাউল/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]