মৃত্যুর ২৩ দিন পর আদালতের নির্দেশে খুলনার ব্যবসায়ী এমদাদুল হক লিপনের লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে খুলনার টুটপাড়া কবরস্থান থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেনের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের জন্য এ লাশ উত্তোলন করা হয়।

বিজিএমইএ এর সাবেক ডেপুটি সেক্রেটারি এমদাদুল হক লিপন গত ১৩ সেপ্টম্বরে নিহত হন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

গত ১৩ সেপ্টেম্বর তিন বন্ধুর সাথে গাড়ি নিয়ে বেড়াতে বের হন লিপন। পরে বন্ধুরা ‘লিপন গাড়িসহ রূপগঞ্জ থানার ৩শ ফিট সড়কের পাশে ডোবায় পড়ে পানিতে ডুবে নিহত হয়েছে’ বলে তাদের জানায়, বলেন নিহতের মা আনোয়ারা আক্তার।

তারা তাকে আরো জানায়, ‘লিপনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে এবং সেখানে লিপনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তার বন্ধুরা লাশ অন্য হাসপাতালে নিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়ার সনদ গ্রহণ করে।‘

তিনি আরো জানান, পরবর্তীতে নিহত লিপনের লাশ খুলনায় দাফন করা হয়। কিন্তু লাশের সাথে নিহতের স্ত্রী রুমানা আক্তার না আসায় এবং তিন বন্ধুর কথায় সন্দেহ হয়।

এর ফলে ‘পরিবারের পক্ষে নিহতের বড় ভাই এনামুল হক লিপনের তিন বন্ধু এহতেশাম কবীর ওরফে জুন, মঞ্জুর মোর্শেদ এবং ইঞ্জিনিয়ার মাসুমের নামোল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। এরা সবাই খুলনা ও দৌলতপুরের বাসিন্দা হলেও ঢাকায় ব্যবসা ও চাকরির সাথে জড়িত।’

টুটপাড়া কবরস্থান থেকে লাশ তোলার সময় খুলনা সদর থানার পুলিশের একটি দলসহ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার এসআই (তদন্ত) নাজিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

বিবার্তা/এরশাদ