সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা এইচএম এরশাদ মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে।
প্রধান তিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা লাঙ্গল, ধানের শীষ ও মোটর গাড়ি প্রতীকের প্রার্থীরা প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন। প্রতিনিয়তই রংপুর নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার অলিগলি গণসংযোগ ছাড়াও পথসভাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী রাহগীর আল মাহী সাদ এরশাদ রবিবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদ ও নার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাথে মতবিনিময় করেন। পরে তিনি কোর্ট মসজিদে জোহরের নামাজ শেষে কাচারি বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন।
পরে তিনি লালকুঠি মোড়, খামারপাড়া, বিকেলে স্টেশন এলাকায় গণসংযোগ করে সাত-মাথায় দুটি পথসভায় বক্তব্য রাখেন। এরপর ধাপের হাট এলাকায় গণসংযোগ ও পথ-সভায় মিলিত হন।
এ সময় তার সাথে ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক এসএম ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক ও শাফিউল ইসলাম শাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনসি আব্দুল বারী, হাসানুজ্জামান নাজিমসহ জাতীয় পার্টি এবং সহযোগি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ছিলেন।
অন্যদিকে বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান রবিবার দুপুরে প্রেসক্লাব চত্বর, রিপোটার্স ক্লাব এলাকা, জাহাজ কোম্পানি মোড়, বেতপট্রি, দেওয়ান-বাড়ি রোড, হাড়িপট্রি, চাউল আমোদ গলিসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন।
এ সময় তার সাথে ছিলেন রংপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল খালেক, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি সুলতান আলম বুলবুল, অ্যাড. রেজেকা সুলতানা ফেন্সি, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালামসহ বিএনপি এবং সহযোগি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
গণসংযোগকালে প্রেসক্লাব চত্বরে রিটা রহমান অভিযোগ করে সাংবাদিকদের জানান, আমার প্রতি বৈষম্য মূলক আচরণ করা হচ্ছে। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নানা রকমের মামলা সহ হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। প্রচার-প্রচারণায় সমঅধিকার দেয়া হচ্ছে না। মহাজোটের প্রার্থীকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। যা নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে।
রিটা রহমানের আরো অভিযোগ, মহাজোট প্রার্থী সভা মঞ্চ করে নির্বাচনী এলাকায় জনসভা, পথসভা করছে। এক সঙ্গে অধিক সংখ্যক মাইকের হর্ন ব্যবহার করছে। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছেন। আমার মহাসচিব সোমবার আসবেন। তার জন্য নির্বাচনী সভার মঞ্চ তৈরিতে আচরণ বিধির কথা বলে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে আমি এবং ভোটাররা শঙ্কার মধ্যে রয়েছি।
অন্যদিক স্বতন্ত্র প্রার্থী এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ নগরীর সেনপাড়া ও সালেক মার্কেট এলাকায় গণসংযোগ শেষে বিভিন্ন এলাকায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন।
এ সময় তার সাথে ছিলেন জেলা শ্রমিক পার্টির সাবেক সভাপতি সামসুল হক, আব্দুর রাজ্জাক, ছাত্রসমাজের সাবেক নেতা সাগর মণ্ডল প্রমুখ। পরে তিনি সালেক মার্কেটের তৃতীয় তলায় দোকান মালিক সমিতির সাথে বৈঠক করেন। এ সময় আসিফ অভিযোগ করে বলেন, মহাজোট প্রার্থী আচরণবিধি মানছেন না। প্রশাসনও সে বিষয়ে কোনো মাথা ঘামাচ্ছে না। এটা উদ্বেগজনক।
বিবার্তা/সোহেল/তাওহীদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]