শিরোনাম
পূজায় এবারের বিশেষ আকর্ষণ ‘মেঘের গর্জন’
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:১৪
পূজায় এবারের বিশেষ আকর্ষণ ‘মেঘের গর্জন’
লামা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

শুরু হয়েছে মহালয়া। আর মাত্র তিন পরেই শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ উৎসবকে ঘিরে বান্দরবানের লামা উপজেলায় নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।


এবার উপজেলার একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নে একযোগে আটটি মণ্ডপে দুর্গা পূজা পালন করা হবে। বৃহত্তর লামা সনাতনী সমাজের আয়োজনে কেন্দ্রীয় হরি মন্দির মণ্ডপের শারদীয় দূর্গোৎসবের মহা ষষ্ঠী ও প্রতিমা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন, পৌরসভা মেয়র জহিরুল ইসলাম।


এদিকে উৎসব যেন সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে পালন করতে পারেন, সেজন্য মণ্ডপগুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।


এ বছর উপজেলার কেন্দ্রীয় হরি মন্দির পূজা মণ্ডপের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ‘মেঘের গর্জন’ থাকছে বলে জানান কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবুল দাশ।


প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ এখন মন্দিরের সাজসজ্জার আর প্রতিমাকে রং করা ও সাজানোর কাজ চলছে। এখন উপজেলার মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে সাজ সাজ রব। ৩ অক্টোবর মহা পঞ্চমীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ৮ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ পূজা।


সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছরের মত এবারও উপজেলায় পূজা মণ্ডপের সংখ্যা আটটি। তারমধ্যে পৌরসভা এলাকায় দুইটি, লামা সদর ইউনিয়নে একটি, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে চারটি, আজিজনগর ইউনিয়নে একটি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।


দুর্গা মাকে বরণ করার জন্য উপজেলার প্রতিটি পূজা মণ্ডপে প্রীত প্রায় শেষ পর্যায়ে। পূজা মণ্ডপগুলো বর্ণিল সাজে সজ্জিত হচ্ছে। কোন পূজামণ্ডপ কত বেশি সুন্দর করা যায়, সেই প্রতিযোগিতাও চলছে অনেক এলাকায়।


সদর ইউনিয়নের মেরাখোলা হরি মন্দিরের দুর্গা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সাধন চন্দ্র সেন ও রূপণ কান্তি নাথ বলেন, আমরা প্রতিবারের মত এবারও সনাতন ধর্মের নিয়ম অনুসারে প্রতিমা তৈরি করেছি। এখন মন্দিরের সাজসজ্জার আর প্রতিমাকে রং করা ও সাজানোর কাজ বাকি রয়েছে। পূজা শুরুর আগেই বাকি কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।


এবারে মা দুর্গা আসবেন ঘোড়ায় চড়ে, আবার ঘোড়ায় চড়ে যাবেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।


কেন্দ্রীয় হরি মন্দির মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত কক্সবাজারের প্রতিমা শিল্পী বাবুল ভট্টাচার্য বলেন, প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ। এখন প্রতিমায় চলছে রং তুলির আঁচড় আর সাজ সজ্জা। আশা করি দুই-তিন দিনের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারবো।


লামা উপজেলা কেন্দ্রীয় দুর্গা পূজা উদযাপন পরিষদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয় আইচ বলেন, কেন্দ্রীয় হরি মন্দির মণ্ডপে হাজারো মানুষের সমাগম হবে, তাই সব কিছু মাথায় রেখে সুষ্ঠভাবে উৎসব পালনের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এবারে পূজার জন্য আট লাখ টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। তবে এখনো সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।


তিনি বলেন, মন্দিরে দরিদ্রদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ, প্রসাদ বিতরণ, সংগীত সন্ধ্যা, চন্ডীযোগ্যসহ নানান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপিকে পূজায় আমন্ত্রণ করেছি। প্রতিবছর তার সার্বিক সহযোগিতায় আমরা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করে থাকি। আশা করি এবারও আমরা সকলে মিলেমিশে এ উৎসব উদযাপন করতে পারবো।


লামা থানাও ওসি অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, দুর্গাপূজা মণ্ডপগুলোতে পুলিশের পাশাপাশি আনসার ভিজিবি সদস্যও মোতায়েন করা হবে। আশা করি প্রতিবছরের ন্যায় এবারও শান্তিপূর্ণভাবে পুজা উদযাপন করতে পারবেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।


এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সরকারিভাবে দুর্গা পূজা উৎসব পালনের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হবে। বরাদ্দের জন্য ইতোমধ্যে মণ্ডপগুলোর তালিকা ও আবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। দুই এক দিনের মধ্যে বরাদ্দ চলে আসবে। বরাদ্দ সাপেক্ষে অনুদান প্রদান করা হবে মণ্ডপগুলোতে।


বিবার্তা/আরমান/তাওহীদ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com