বগুড়ার কাহালুতে এনজিওকর্মী শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। হত্যার পরিকল্পনাকারী রাজু আহম্মেদসহ (২৫) চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ২১ হাজার সাতশ টাকা, ভিকটিম শাহরিয়ারের মোবাইল ফোন ও কালো রঙের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে।
শাহরিয়ার ঝিনাইদহের শৈলকূপা গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে। তিনি বেসরকারি সংস্থা উদ্দীপনের কাহালু শাখায় মাইক্রো ক্রেডিড বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কাহালু থানা পুলিশ এক প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানায়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-বগুড়া সদরের এরুলিয়া বানদীঘি গ্রামের আমজাদ হোসেন ওরফে ওসমান, তার ছেলে রাজু আহম্মেদ (২৫), রাজুর মা মর্জিনা বেগম (৪৫) ও স্ত্রী নাজমা বেগম (২৩)। এদের মধ্যে রাজু আহম্মেদ হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতরা কাহালুর দামাই গ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল। ঘটনার দিন ১৭ সেপ্টেম্বর বেলা ২টা ১০ মিনিটে পরস্পরের যোগসাজশে এনজিওকর্মী শাহরিয়ারকে মোবাইলে ডেকে আনে। এরপর তার মাথায় শিল দিয়ে আঘাত করে থেঁতলে দেয়া হয়।
একপর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত করতে শ্বাসরোধ করা হয়। পরে চট ও কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে গুম করে রেখে ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায় তারা। দুদিন পর পুলিশ দামাই গ্রামের আমজাদ হোসেনের ভাড়া বাসা থেকে শাহরিয়ারের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ তখন থেকেই হত্যার রহস্য উদঘাটন ও আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রাখে। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশালের মূলাদি থানার দুর্গম চরাঞ্চল থেকে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
বগুড়ার কাহালু থানার ওসি জিয়া লতিফুল জানান, আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিবার্তা/এরশাদ/রবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]